করাচি: চাঞ্চল্যকর দাবি পাকিস্তানি ক্রিকেট অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদের। দুবাইয়ে শ্রীলঙ্কা-পাকিস্তান চলতি একদিনের সিরিজের মধ্যেই তাঁকে এক বুকি লোভনীয় অফার দেয়, তিনিও বিষয়টি দুর্নীতি দমন ও নিরাপত্তা ইউনিটের কর্তাব্যক্তিদের গোচরে এনেছেন বলে জানিয়েছেন সরফরাজ।

পাকিস্তান সুপার লিগে ম্যাচ গড়াপেটা ফাঁস হওয়ার পর দুই ব্যাটসম্যান শারজিল খান ও খালিদ লতিফের ওপর পাঁচ বছরের নিষেধাজ্ঞা জারি করে বেটিং চক্র ঠেকানো যাবে বলে ভেবেছিলেন পাক ক্রিকেট কর্তারা। কিন্তু সরফরাজের বিস্ফোরক দাবি উদ্বেগে ফেলেছে পাক ক্রিকেট দলের সঙ্গে দুবাই যাওয়া পিসিবি-র লোকজনকে।

নাম প্রকাশে নারাজ পিসিবি-র এক কর্তা বলেছেন, স্বীকৃত মান-পদ্ধতি অনুযায়ী বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে, তবে সরফরাজ অধিনায়ক ও ক্রিকেটার হিসাবে টিমের সদস্যদের সামনে কীভাবে ক্রিকেটকে দূষিত করার প্রলোভন থেকে দূরে থাকতে হয়, সে ব্যাপারে দৃষ্টান্ত স্থাপন করে সকলেরই গভীর শ্রদ্ধার পাত্র।

তিনি এও বলেন, আইসিসি-র নিয়মের আওতায় সংশ্লিষ্ট যে ক্রিকেটারকে অফার দেওয়া হয়, তাঁর নাম প্রকাশ করা যায় না। তবে এটা ঘটনা যে, সরফরাজকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল এবং ও সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তাদের জানায়, তাঁরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও নেন।

ঘটনাচক্রে যে ব্যক্তি সরফরাজকে মৌখিক অফার দিয়েছে, সে দুবাইয়ের লোক, ক্রিকেটারদেরও নাকি পরিচিত।

পিসিবি-র এক কর্মকর্তা প্লেয়ারদের ওপর নজরদারি বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, হেড কোচ মিকি আর্থার জোরাজুরি করায় সংযুক্ত আরব আমিরশাহির চলতি সিরিজের মধ্যে ক্রিকেটারদের ওপর নিয়মের কড়াকড়ি খানিকটা শিথিল করা হয়েছিল। তাদের বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে দেখা করা, শপিংয়ে বেরনো, ডিনারে যাওয়ায় ছাড় দেওয়া হয়। কিন্তু আবার কঠোর নিয়মবিধি চালু হয়েছে, সময় বেঁধে দেওয়া হচ্ছে।

গত ফেব্রুয়ারিতে ফাঁস হওয়া পিএসএল স্পট ফিক্সিং পাক ক্রিকেটে আলোড়ন ফেলে দেয়। তার জেরে দুবাইয়ে পাক ক্রিকেট দলের হোটেল বদলে ফেলা হয়।