বিতর্কে জড়ানো যেন অভ্যাসে পরিণত হয়ে গিয়েছে উমরের। অতীতে বহুবার বিতর্কে জড়িয়েছেন তিনি। ফের নয়া বিতর্ক তাঁকে ঘিরে। গতকাল সাংবাদিক সম্মেলনে উমর বলেন, ‘হাঁটুর চোটের রিহ্যাবিলিটেশনের জন্য আমি ইংল্যান্ডে গিয়েছিলাম। চোট সেরে যাওয়ার পর ফিটনেসের উন্নতি এবং অনুশীলনের জন্য জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে যাই। কিন্তু কোচিং স্টাফরা আমার সঙ্গে কাজ করতে রাজি হননি। আমি যখন জানতে চাই, বিদেশি কোচরা কেন আমার সঙ্গে কাজ করতে রাজি নন? তখন তাঁরা বলেন, পিসিবি-র চুক্তির আওতায় থাকা ক্রিকেটারদেরই তাঁরা অগ্রাধিকার দেবেন। আমি বলি, আমিও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। আমার ফিটনেসের ঘাটতি থাকলে তাঁদের সাহায্য করা উচিত। আমি তখন প্রধান নির্বাচক ইনজামাম উল হকের সঙ্গে কথা বলতে যাই। তিনি মিকি আর্থারের সঙ্গে কথা বলতে বলেন। মিকি আমাকে ইনজি ভাইয়ের ঘরে নিয়ে গিয়ে খারাপ ভাষায় কথা বলতে শুরু করেন। এতে আমি অপমানিত হয়েছি। আমার কোনও দোষই নেই। ফিটনেসের উন্নতি করার চেষ্টা করছি। ট্রেনারদের সাহায্য চেয়েছিলাম। কিন্তু মিকি বলে, জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে না এসে আমার ক্লাব ক্রিকেট খেলা উচিত। মিকি আমার সঙ্গে খারাপ ভাষায় কথা বলতে পারেন না। সেই কারণেই প্রকাশ্যে এই কথা বলছি। পিসিবি চেয়ারম্যান নজম শেঠির উচিত এই বিষয়টিকে গুরুত্ব সহকারে দেখা।’
উমরের এই অভিযোগ খারিজ করে দিয়ে মিকি বলেছেন, ‘উমর আকমল ব্যাটিং অনুশীলনের জন্য গ্র্যান্ট ফ্লাওয়ারের সাহায্য চেয়েছিল। কিন্তু ওর সঙ্গে পিসিবি-র চুক্তি না থাকায় আগে গিয়ে ক্লাব ক্রিকেট খেলতে বলি আমি। আমি ওকে অ্যাকাডেমি ব্যবহার করতে বাধা দিইনি। শুধু বলেছিলাম, সাপোর্ট স্টাফদের সাহায্য পাওয়ার অধিকার অর্জন করতে হবে। সাপোর্ট স্টাফরা চুক্তির আওতায় থাকা খেলোয়াড়দের সাহায্য করার জন্য রয়েছে। অন্য কেউ ডাকলেই তারা ছুটে যাবে, এটা যেন কেউ আশা না করে।’