করাচি: মাত্র ২৯ বছর বয়সেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার কথা ঘোষণা করে দিলেন পাকিস্তানের বাঁ হাতি পেসার মহম্মদ আমির। অবসরের কারণ হিসেবে তিনি ‘মানসিক অত্যাচার’-এর কথা উল্লেখ করেছেন। পিসিবি-কে নিজের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিয়েছেন এই পেসার।


এক ভিডিও বার্তায় আমির বলেছেন, ‘বর্তমান ম্যানেজমেন্টের অধীনে আমি ক্রিকেট খেলতে পারব না। সেই কারণেই খেলা ছেড়ে দিচ্ছি।  আমার উপর মানসিক অত্যাচার করা হয়েছে। আমাকে বারবার শুনতে হয়েছে, পিসিবি আমার জন্য অনেককিছু করেছে। আমি আর সেটা সহ্য করতে পারছি না। ২০১০ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত আমার যথেষ্ট অভিজ্ঞতা হয়েছে। আমি শাহিদ আফ্রিদির কাছে কৃতজ্ঞ। আমি নির্বাসন কাটিয়ে মাঠে ফেরার পর তিনি আমাকে সুযোগ দেন। সবাই দেশের হয়ে খেলতে চায়। কিন্তু আমাকে বারবার বলা হয়েছে, আমি বিভিন্ন দেশে গিয়ে টি-২০ লিগে খেলতে চাই বলেই টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছি। কিন্তু আমি যদি বিভিন্ন লিগে খেলতে চাইতাম, তাহলে বলতাম পাকিস্তানের হয়ে খেলতে চাই না। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে আমি প্রত্যাবর্তন ঘটাই। তারপর পাকিস্তানের হয়ে খেলার সুযোগ পাই। প্রত্যেক মাসে একজন করে বলতেন, আমির বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। আমি এই মানসিক অত্যাচার আর সহ্য করতে পারছি না।’

পাকিস্তানের হয়ে ৩৬টি টেস্ট, ৬১টি একদিনের আন্তর্জাতিক এবং ৫০টি টি-২০ ম্যাচ খেলেছেন আমির। ২০০৯ সালে টি-২০ বিশ্বকাপে তাঁর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়। অসাধারণ বোলিংয়ের সুবাদে শুরুতেই তিনি ক্রিকেটদুনিয়ার সবার নজর কেড়ে নেন। কিন্তু ২০১০ সালে ইংল্যান্ড সফরে স্পট-ফিক্সিংয়ের দায়ে তিনি গ্রেফতার হন। এরপর পাঁচ বছরের জন্য ক্রিকেট থেকে নির্বাসিত হন তিনি। ২০১৫ সালে নির্বাসনের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর তিনি মাঠে ফেরেন। ২০১৬ সালে নিউজিল্যান্ড সফরে পাকিস্তানের হয়ে ফের খেলার সুযোগ পান তিনি।

গত বছর টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার কথা ঘোষণা করেন এই পেসার। তখন তিনি জানান, সীমিত ওভারের ফর্ম্যাটে মন দিয়ে খেলার লক্ষ্যেই টেস্ট থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন। তবে গত বছরের নভেম্বরে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজে পাক দল থেকে বাদ পড়েন আমির। তাঁকে শেষবার দেখা যায় শ্রীলঙ্কা প্রিমিয়ার লিগে।

এ মাসের শুরুতেই সংবাদসংস্থা এএনআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আমির বলেছিলেন, লকডাউনের সময়েও তিনি নিজেকে ফিট রাখার চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছেন। কিন্তু আচমকা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে সরে দাঁড়ালেন তিনি।