বার্মিহাম: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে তাদের প্রথম ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের কাছে ছিন্নভিন্ন হয়েছে পাকিস্তান। এবার টুর্নামেন্টে তাদের টিকে থাকার লড়াই। সেই লড়াইটা এই পাক দলের কাছে যথেষ্ট কঠিন। আগামীকাল তাদের প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে মনোবলের তুঙ্গে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রোটিয়ানদের কাছে হারলেই লাহৌর যাওয়ার টিকিট কেটে নিতে হতে পারে সরফরাজদের।

ভারতের বিরুদ্ধে ম্যাচে পাক ব্যাটিং অর্ডার তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়েছিল। এই অবস্থায় একদিনের দলের ক্রমতালিকায় শীর্ষে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকাকে আটকাতে পাক ব্যাটসম্যানদের অসাধ্য সাধন করতে হবে। ভারতের পেস বোলিংয়ের সামনে দুরমুশ হয়ে যাওয়া পাক ব্যাটিং অর্ডার এমনিতেই চাপে রয়েছে। এরওপর প্রোটিয়া পেস ব্যাটারি সামলানো তাদের পক্ষে যে কঠিন হবে, তা সহজেই অনুমান করা যায়। তরুণ পেসার কাসিগো রাবাদার সঙ্গে রয়েছেন অভিজ্ঞ মর্নি মর্কেল ও ওয়েন পার্নেল।

এরওপর রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার শক্তিশালী ব্যাটিং অর্ডার। হামিস আমলা, ফাফ ডুপ্লেসি, এবি ডিভিলিয়ার্সের মতো ব্যাটসম্যানরা একাই যে কোনও বোলিং অ্যাটাককে ধরাশায়ী করার ক্ষমতা রাখেন ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের তাণ্ডবে এজবাস্টনে কার্যত দিশেহারা দেখিয়েছিল পাক বোলারদের। গোদের ওপর বিষফোঁড়া। পেসার ওয়াহাব রিয়াজ চোটের জন্য টুর্নামেন্ট থেকেই ছিটকে গিয়েছেন।

কিন্তু ক্রিকেট বিশ্বে পাকিস্তানকে আপপ্রেডিক্টেবল বলা হয়। যে কোনও মুহুর্তে অঘটনা ঘটাতে পারে তারা। খাতায়-কলমে ও পারফরম্যান্সের বিচারে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে আন্ডারডগ হিসেবে মাঠে নামলেও আপাতত অঘটনের দিকেই তাকিয়ে পাক সমর্থকরা।

গ্রুপ এ থেকে টুর্নামেন্টে পরের ধাপে যাওয়ার ক্ষেত্রে দক্ষিণ আফ্রিকা ও ভারতকেই এগিয়ে রেখেছেন বিশেষজ্ঞরা। দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে পাকিস্তান হিসেব-অঙ্ক উল্টে দিতে পারে কিনা, তার জবাব মিলবে আগামীকাল।