লন্ডন: হতশ্রী পারফরম্যান্স। ৫ ম্যাচের মধ্যে ৩ হার। জয় স্রেফ একটি ম্যাচেই। অন্য আরেকটি ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেস্তে যাওয়ায় পয়েন্ট ভাগাভাগি হয়েছে। এই মুহূর্তে পয়েন্ট তালিকার দিকে তাকালে দেখা যাবে, শেষের দিক থেকে দ্বিতীয় স্থানে পাকিস্তান। আফগানিস্তানের পরেই। মাত্র ৩ পয়েন্ট নিয়ে কোনও রকমভাবে টিমটিম করা আলো নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে সরফরাজ আহমেদের দল। এখনও কি আশা আছে, শেষ চারে যাওয়ার? খাতায় কলমে হিসেব কষলে বাকি চারটি ম্যাচের চারটিতে জিততে পারলে হয়ত সুযোগ হলেও হতে পারে। আর একটি ম্যাচে হার মানেই প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে যাওয়া। ইমরান খানের দেশ ইতিমধ্যেই হাল ছেড়ে দিয়েছে। ভারতের কাছে ৭-০ হওয়ার পর সমালোচনার মুখে পড়েছে গোটা পাক দল।
অধিনায়ক সরফরাজ, দলের অভিজ্ঞ ক্রিকেটার শোয়েব মালিক থেকে শুরু করে সবার পারফর্ম্যান্সই অনুবিক্ষণ যন্ত্র দিয়ে দেখা হচ্ছে। পাক ক্রিকেটারদের সমালোচনা করছে খোদ প্রাক্তনীরাই। এমন অবস্থায় দলের মনোবল চাঙ্গা করতে, দেশের আশা জিইয়ে রাখতে ব্যাট ধরলেন ৩৮ বছরের মহম্মদ হাফিজ। ১৯৯২ সালের চ্যাম্পিয়নদের উত্তরসূরী হাফিজ বলছেন, “আমরা দল হিসেবে একেবারেই ভাল পারফর্ম করিনি। একার সাফল্যেও দল জেতেনি। দলের এই ভরাডুবির জন্য প্রত্যেকেই দায়ী। কোনও একজনকে দায়ী করা কখনই ঠিক হবে না। যেভাবে আমাদের ক্রিকেটারদের সমালোচনা করা হচ্ছে তা সত্যিই বেদনাদায়ক।” শোয়েব মালিক ও সানিয়া মির্জার একটি ভিডিও নিয়ে যেভাবে শোরগোল ফেলে দেওয়া হয়েছে তাতেও বিরক্তি প্রকাশ করেছেন এই পাক ক্রিকেটার। সমালোচকদের পাল্টা একহাত নিয়ে তিনি বলেন, “দল যখন যেতে তখন কেনও এই বিষয়গুলো নিয়ে কেউ কথা বলে না।”
দলের অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার আশাবাদী, এখনও সব শেষ হয়ে যায়নি। আগামীতে আরও চারটি ম্যাচ রয়েছে তাঁদের। দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশের সঙ্গে ম্যাচ বাকি আছে। এই চার ম্যাচে ২ পয়েন্ট করে আদায় করে নিতে পারলে পাকিস্তান পৌঁছে যাবে ১১ পয়েন্টে। সেক্ষেত্রে সেমিফাইনাল খেলার একটা ক্ষীণ সুযোগ তৈরি হলেও হতে পারে। সেদিকেই তাঁকিয়ে মহম্মদ হাফিজ।