নয়াদিল্লি: ভারতের অন্যতম স্বনামধন্য ক্রিকেটার পার্থিব পটেল। এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যানের ভারতের হয়ে ২০০২ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিল। ২০০৩-র বিশ্বকাপ দলেও ছিলেন তিনি। এরপর মহেন্দ্র সিংহ ধোনির উত্থানের কারণে জাতীয় দলে জায়গা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল তাঁর। এরপরও  কামব্যাক ঘটেছে তাঁর। জাতীয় দলে খেলার সুযোগ বেশি না পেলেও ঘরোয়া ক্রিকেট ও আইপিএলে দাপটের সঙ্গে খেলেছেন তিনি। কিন্তু অনেকেই হয়ত জানেন না যে, তাঁর দুই হাতে রয়েছে দশটি নয়, নয়টি আঙুল। এক হাতের কড়ে আঙুল দুর্ঘটনার কারণে ছোটবেলাতেই হারিয়ে ফেলেন তিনি।

ইনস্টাগ্রামে একটি লাইভ সেশনে ছোটবেলার ওই দুর্ঘটনার কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, দরজায় আঙুল আটকে গিয়েছিল। এজন্য কড়ে আঙুল কেটে গিয়েছিল তাঁর। সেইসময় তাঁর বয়স ছিল মাত্র ছয়। কিন্তু প্রতিবন্ধকতাকে থোড়াই কেয়ার করে নয় আঙুল নিয়েই ভারতীয় দলের হয়ে উইকেটকিপিং করেছেন।

পার্থিব বলেছেন, নয় আঙুল নিয়ে উইকেটকিপিং করাটা কঠিন। কারণ, কেটে যাওয়া আঙুল গ্লাভসে খাপ খায় না। সেজন্য তিনি ওই আঙুল গ্লাভসের সঙ্গে টেপ দিয়ে বেঁধে নেন, যাতে তা খুলে না যায় এবং আঘাত না লাগে।

৩৫ বছরের পার্থিবের কড়ে আঙুল হারানো নিয়ে কোনও আক্ষেপ নেই। নয় আঙুল নিয়েই ভারতের হয়ে খেলতে পেরেছেন, এতে তিনি খুবই খুশি।

তিনি বলেছেন, নয় আঙুল নিয়ে কিপিং করা কঠিন, কারণ কড়ে আঙুল গ্লাভসের সঙ্গে খাপ খায় না। তাই আমি টেপ দিয়ে ওই আঙুল গ্লাভসের সঙ্গে ডড়িয়ে নিই, যাতে তা খুলে না যায়। আমার সব কটা আঙুল থাকলে কী হত আমি জানি না, কিন্তু নয় আঙুল নিয়েই ভারতের হয়ে খেলতে পেরে খুবই আনন্দিত।

ভারতের হয়ে ২০১৮-তে শেষবার খেলেছেন তিনি। ঘরোয়া ক্রিকেটে গুজরাতের হয়ে খেলেন তিনি। ২০১৬-১৭ তে  তাঁর নেতৃত্বে গুজরাত রঞ্জি ট্রফি জিতেছিল। মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে ফাইনালে দুই ইনিংসে ৯০ ও ১৪৩ রান করেছিলেন।