ধরমশালা: আইপিএলে মরণ-বাঁচন ম্যাচে রাজস্থানের বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে ১৮৭/৫ বোর্ডে তুলে নিল পাঞ্জাব কিংস। রাডস্থানের হয়ে এদিন একাদশে সুযোগ পেয়ে একাই তিন উইকেট তুলে নিলেন নভদীপ সাইনি। পাঞ্জাবের টপ অর্ডার ব্যর্থ হলেও কারান, জিতেশ, শাহরুখদের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ১৮৭ রান বোর্ডে তুলল পাঞ্জাব। রাজস্থানের সামনে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৮৮ রান লক্ষ্যমাত্রা রাখল তারা।
এদিন ধরমশালায় টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন রাজস্থান রয়্যালস অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন। পাঞ্জাব ও রাজস্থান দুটো দলের কাছেই খুব গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচ। শুরুতেই পাঞ্জাবের এক উইকেটের পতন। নিজের প্রথম ওভারেই নিজের বলেই ক্যাচ নিয়ে প্রভসিমরনকে প্যাভিলিয়নের রাস্তা দেখালেন ট্রেন্ট বোল্ট। নিজের বলেই অনবদ্য ক্যাচ লুফে নেন কিউয়ি পেসার। এরপর অর্থব টাইডে ও শিখর ধবন মিলে দলের স্কোরবোর্ড এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন। কিন্তু অথর্বকে ফিরিয়ে দেন সাইনি। ১৯ রান করে সাইনির বলে আউট হলেন অথর্ব টাইডে। ধবন ১৭ রান করে জাম্পার বলে লেগবিফোর হয়ে ফেরেন। এদিন ব্যাট চলেনি লিভিংস্টোনেরও। ৯ রান করে সাইনির বলে বোল্ড হয়ে যান তিনি।
তবে এরপরই স্যাম কারান ও জিতেশ শর্মা মিলে স্কোরবোর্ড সচল রাখেন। ২ জনেই চালিয়ে খেলা শুরু করেন। কারানকে প্রচুর অর্থ খরচ করে এবার দলে নিয়েছিল পাঞ্জাব। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তাঁর সেরা পারফরম্যান্স দেখা যায়নি। এদিন ব্যাট হাতে জ্বলে উঠলেন ইংল্যান্ডের তারকা অলরাউন্ডার। ৩১ বলে ৪৯ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন তিনি। নিজের ইনিংসে ৪টি বাউন্ডারি ও ২টো ছক্কা হাঁকান কারান। জিতেশ শর্মা ২৮ বলে ৪৪ রানের ইনিংস খেলে আউট হন। তিনটি বাউন্ডারি ও ৩টি ছক্কা হাঁকান তিনি। শেষদিকে শাহরুখ খানও এসে ঝোড়ো ব্যাটিংয়ের মাধ্যমে ২৩ বলে ৪১ রান করে অপরাজিত থাকেন। নিজের ইনিংসে তিনিও ৪টি বাউন্ডারি ও ২টো ছক্কা হাঁকান।
রাজস্থান বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল বোলার সাইনি। তিনি এদিন তিন উইকেট তুলে নেন। ১টি করে উইকেট পান বোল্ট ও জাম্পা। তবে ৪ ওভারে ৪০ রান খরচ করলেও কোনও উইকেট পাননি যুজবেন্দ্র চাহাল।