বেঙ্গালুরু: ভারত-শ্রীলঙ্কা (Ind vs SL) গোলাপি বলে (Pink Ball Test) দিন-রাতের টেস্ট ম্যাচ ঘিরে উন্মাদনা বাড়ছে। কর্নাটক ক্রিকেট সংস্থা প্রথমেই ঠিক করেছিল যে, মাঠে পঞ্চাশ শতাংশ দর্শক প্রবেশের ব্যবস্থা রাখা হবে। অনলাইনে টিকিট বিক্রি শুরু হওয়ার পর নিমেষে তা শেষ হয়ে গিয়েছিল। এবার কর্নাটক রাজ্য ক্রিকেট সংস্থা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, মাঠে একশো শতাংশ দর্শক রেখেই করা হবে নৈশালোকে টেস্ট ম্যাচ।
বৃহস্পতিবার কর্নাটক রাজ্য ক্রিকেট সংস্থা থেকে জানানো হয়েছে যে, ম্যাচের সব টিকিটই বিক্রি করা হবে। ফলে ভরা স্টেডিয়ামে খেলার সুযোগ পাবেন বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মারা।
এর আগে মোহালিতে প্রথম টেস্ট ম্যাচ দর্শকশূন্য মাঠে করার কথা বলা হয়েছিল। সেটাই ছিল বিরাটের কেরিয়ারের একশোতম টেস্ট। যে ম্যাচ নিয়ে তৈরি হয়েছিল উন্মাদনা। পরে চাপের মুখে পড়ে পিছু হটেছিল বোর্ড। পঞ্চাশ শতাংশ দর্শক নিয়ে হয়েছিল ম্যাচ। দ্বিতীয় টেস্টে সকলের জন্য দরজা খুলে দিল বোর্ড।
প্রথমবার দিন-রাতের টেস্ট ম্যাচ (Pink Ball Test) খেলা হবে। সেজে উঠছে বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়াম। এই ম্যাচে দর্শকের প্রবেশাধিকার দিচ্ছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (BCCI)। মোট দর্শকাসনের পঞ্চাশ শতাংশ টিকিট বিক্রির ছাড়পত্র পেয়েছিল কর্নাটক ক্রিকেট সংস্থা (KSCA)। তবে ম্যাচ নিয়ে এমনই উন্মাদনা তৈরি হয়েছে যে, অনলাইনে টিকিট বিক্রি শুরু হওয়ার পরই মুহূর্তে তা নিঃশেষ হয়ে যায়।
দিন-রাতের ম্যাচে শিশির কতটা প্রভাব ফেলবে, তা নিয়ে যথারীতি চর্চা শুরু হয়েছে। ভারতের মাটিতে এটা হতে চলেছে দ্বিতীয় নৈশালোকে গোলাপি বলে টেস্ট ম্যাচ। এর আগে ২০১৯ সালে ইডেনে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আয়োজিত হয়েছিল প্রথম গোলাপি বলে দিন-রাতের টেস্ট।
১৯৯৬ সালে বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তান ঐতিহাসিক ম্য়াচ ছিল এই মাঠে প্রথম দিন-রাতের ম্যাচ। তারপর থেকে প্রায় আড়াই দশকেরও বেশি সময় কেটে গিয়েছে। কিন্তু টেস্টে পিচ বা পরিবেশ-পরিস্থিতি কীরকম প্রভাব ফেলবে, তা নিয়ে চলছে জোর জল্পনা। প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে দাঁড়াতে দেয়নি ভারত। জিতেছে ইনিংস ও ২২২ রানে।
মনে করা হচ্ছে, ম্যাচের দুই অংশে দু'রকম আচরণ দেখা যাবে বাইশ গজে। প্রথমার্ধে উইকেট ব্যাটিং সহায়ক হবে। পরের অর্ধে অর্থাৎ সূর্যাস্তের পর পিচ থেকে সাহায্য পেতে পারেন বোলাররা।