নয়াদিল্লি: বিরাট কোহলির সঙ্গে তাঁর সৌহার্দ্যের সম্পর্ক। সীমান্তে গোলাগুলি, উত্তেজনায় ভারত-পাকিস্তান ক্রিকেট বন্ধ থাকতে পারে, কিন্তু ভারতীয় ক্রিকেট অধিনায়কের সঙ্গে তাঁর সেই সম্পর্ক মার খেতে পারে না, রাজনীতি তাতে প্রভাব ফেলতে পারবে না। এমনই স্পষ্ট অভিমত শাহিদ আফ্রিদির।
সুইত্জারল্যান্ডের সেন্ট মরিত্জ-এ আইস ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাঁকে প্রাক্তন পাকিস্তানি ক্রিকেট তারকা বলেছেন, বিরাটের সঙ্গে আমার সম্পর্ক রাজনৈতিক পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে না। বিরাট এক দারুণ মানুষ, নিজের দেশের ক্রিকেটের দূত, ঠিক আমি যেমন আমার দেশের। সবসময় ও আমায় সম্মান করেছে, এমনকী বেনজির ভাবে নিজের সই করা জার্সি উপহার দিয়েছে আমার ফাউন্ডেশনকে।
আফ্রিদির ফাউন্ডেশন সমাজের আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া অংশকে স্বাস্থ্যকর, পরিশ্রুত পানীয় জল সরবরাহের কাজ করে।
আফ্রিদি আরও বলেন, বিরাটের সঙ্গে যখনই কথা হয়েছে, ওর আন্তরিকতা, উষ্ণতা, অপরের প্রতি অনুভব দেখেছি। খুব বেশি কথার সুযোগ হয় না, কখনও সখনও ওর বার্তা পাই, আমিও পাঠাই। সম্প্রতি ওকে শুভেচ্ছা, অভিনন্দন জানাই, বিয়ে করছে জানতে পেরে। আমার বিশ্বাস, ব্যক্তির সঙ্গে ব্যক্তির সম্পর্ক কীভাবে দুটি দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রেও চলতে পারে, ক্রিকেটার হিসাবে সেই নজির গড়তে পারি আমরা। পাকিস্তানের পর আর যে দুটি দেশে সবচেয়ে বেশি ভালবাসা, সম্মান পেয়েছি, তারা হল ভারত আর অস্ট্রেলিয়া।
অধিনায়ক বিরাটের আগ্রাসী মনোভাবকে সমর্থন করেন আফ্রিদি। তিনি বলেছেন, বিরাট দারুণ করছে। আগ্রাসনে আমার আপত্তি নেই, যদি তা নিয়ন্ত্রণে থাকে। বিরাটের মেজাজ মহেন্দ্র সিংহ ধোনির থেকে আলাদা। ধোনি এক ধীর, স্থির মানুষ। আচমকা আপনি একটা মানুষের ভিতরটাকে বদলে দিতে পারেন না। বিরাটের সবচেয়ে বড় সম্পদ, গোটা টিমকে একসঙ্গে নিয়ে চলতে পারে।
পাকিস্তানি ক্রিকেট অধিনায়ক সরফরাজ খানের সঙ্গে কোহলির তুলনা করতে বলা হলে আফ্রিদি বলেন, সরফরাজ এখনও এ কাজে নতুন। সময়ের সঙ্গে নিজেকে উন্নত করবে। আমি যেটা একেবারেই পছন্দ করি না, তা হল, ক্রিকেটারদের খারাপ সময়ে মিডিয়ার তাদের কাঠগড়ায় তুলে বিদ্ধ করা। জিতলে সব ভাল, কিন্তু একটায় হারলেই সবাই ঝাঁপিয়ে পড়ে। এটা অত্যন্ত অন্যায়। একজন ক্রিকেটারের খারাপ সময় এলেও তার আগের সাফল্যকে উপেক্ষা করা উচিত নয়।