করাচি: করোনার ধাক্কায় মাঝপথেই স্থগিত করে দিতে হয়েছিল আইপিএল। অংশগ্রহণকারী আট দলের মধ্যে চারটি দলের ক্রিকেটার ও সাপোর্ট স্টাফ মিলিয়ে বেশ কয়েকজন করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। এবার পাকিস্তানের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল)-এও করোনার হানা। টুর্নামেন্ট শুরুর ঠিক আগে করোনা আক্রান্ত হলেন আনোয়ার আলি। তার আগে তাঁর দলেরই পেসার নাসিম শাহ করোনাবিধি ভঙ্গ করায় টুর্নামেন্ট থেকে বহিষ্কৃত হয়েছেন। সব মিলিয়ে কোয়েট্টা গ্ল্যাডিয়েটর্সের দুই পেসার পিএসএল থেকে ছিটকে গেলেন। নাসিমকে করোনাবিধি ভাঙার দায়ে আমিরশাহি উড়িয়ে নিয়ে যেতে অস্বীকার করে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। আর আনোয়ার আলি করাচির টিম হোটেলে পৌঁছনোর পর করোনা পজিটিভ চিহ্নিত হন।


তবে দেশের মাটিতে নয়, পিএসএলের বাকি ম্যাচগুলি হওয়ার কথা সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে। ২৬ মে লাহৌর ও করাচি থেকে দু'টি চাটার্ড বিমানে ক্রিকেটারদের আবু ধাবি উড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে পিসিবি-র। আনোয়ার করোনা আক্রান্ত হওয়ায় তাঁর পক্ষে স্থগিত হয়ে যাওয়া পিএসএলের বাকি ম্যাচগুলি খেলা আর সম্ভব হবে না। জানা গিয়েছে, করাচির টিম হোটেলে ঢোকার সময় আনোয়ার আলির করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ ছিল। তবে সোমবার হোটেলেই করোনা পরীক্ষা করা হয় তাঁর। মঙ্গলবার যে পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। তড়িঘড়ি পাক পেসারকে হোটেলের অন্য তলায় আইসোলেশনে পাঠানো হয়। অন্তত ১০ দিন তাঁকে আইসোলেশনে থাকতে হবে। দু'টি নেগেটিভ টেস্টের পর তাঁকে হোটেল থেকে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে খবর।


জৈব সুরক্ষা বলয় একবার ভেঙে পড়ায় স্থগিত হয়ে গিয়েছিল পিএসএল। স্বাভাবিকভাবেই পুনরায় যখন পিএসএল শেষ করার উপযুক্ত সময় খুঁজে বার করা গিয়েছে, তখন আর কোনও ঝুঁকি নিতে চায় না পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। আবু ধাবিতে তিনটি বায়ো বাবল তৈরি করতে চলেছে পিসিবি। একটিতে সব দলের ক্রিকেটার, সাপোর্ট স্টাফ, ম্যাচ অফিসিয়াল, হোটেল কর্মী ও পিসিবি কর্তারা থাকবেন। অন্য হোটেলের বায়ো বাবলে থাকবেন ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কর্মী ও ম্যাচের সম্প্রচারের কাজে যুক্ত কর্মীরা। তৃতীয় বাবলে রাখা হবে কিউরেটর ও মাঠকর্মীদের।