এই জয়ের জন্য সিন্ধুকে অভিনন্দন এবং ফাইনালের জন্য শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বলিউডের মেগাস্টার অমিতাভ বচ্চন। তাঁরা ট্যুইট করে সিন্ধুকে বাহবা দিয়েছেন। সিন্ধুর সঙ্গে সেলফি তোলার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন অমিতাভ। তিনি ট্যুইটের মাধ্যমে নাম না করে শোভা দে-কে কটাক্ষ করেছেন।
শেষ চারের ম্যাচে নামার আগে জয়ের বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী ছিলেন সিন্ধু। তাঁর বাবা-মাও নিশ্চিত ছিলেন, মেয়েই ফাইনালে উঠবেন। এই ম্যাচের শুরু থেকে সিন্ধুর সেই আত্মবিশ্বাসই দেখা গেল। ওকুহারাকে দেখে কোনও সময়ই মনে হয়নি তিনি সিন্ধুকে হারাতে পারবেন। প্রথম গেমে তবু শেষপর্যন্ত লড়াই হয়েছিল। কিন্তু দ্বিতীয় গেমে সহজেই জিতে গেলেন সিন্ধু। তিনি প্রথম ভারতীয় ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় হিসেবে অলিম্পিকের ফাইনালে উঠলেন। এবার তাঁর লক্ষ্য সোনা জিতে ইতিহাস গড়া।
বিশ্বের ৬ নম্বর ওকুহারার বিরুদ্ধে ১০ নম্বর সিন্ধুর লড়াই দেখে কোনও সময়ই মনে হয়নি সিন্ধু পিছিয়ে আছেন। উচ্চতাকে কাজে লাগিয়ে শুরু থেকেই প্রতিপক্ষকে থার্ড কোর্টে ঠেলে দিচ্ছিলেন সিন্ধু। তিনি দুর্দান্ত প্রতিবর্ত ক্রিয়া কাজে লাগিয়ে ওকুহারাকে কোর্টের বিভিন্ন দিকে অনবরত ছোটাচ্ছিলেন। ফলে শুরু থেকেই ক্লান্ত হয়ে পড়ছিলেন ওকুহারা। সেই কারণেই তিনি দ্বিতীয় গেমে আর লড়াই করতে পারেননি।