কটক: বোলাররা তাঁদের কাজটা দারুণভাবে করেছিল। কিন্তু চূড়ান্ত ব্যর্থ ব্যাটাররা। বঢোদরার বিরুদ্ধে রঞ্জি ট্রফির প্রথম ম্যাচেই বাংলা ব্যাটিং বিভাগের কঙ্কালসার দেহটা যেন পরিষ্কার বােঝা গেল। মাত্র ৮৮ রানে অল আউট হয়ে গেল গোটা দল। সর্বোচ্চ ২১ রান করলেন ওপেনার সুদীপ কুমার ঘরামি ও অভিষেককারী অভিষেক পোড়েল। দলের ২ অভিজ্ঞ ব্যাটার মনোজ তিওয়ারি ও অনুষ্টুপ মজুমদার খাতাই খুলতে পারলেন না। প্রথম ইনিংসে বঢোদরা করেছিল ১৮১ রান। জবাবে ৮৮ রানে শেষ হয়ে গেল।


গতকালই ১ উইকেট হারিয়েছিল দিনের শেষে বাংলা। মাত্র ৪ রান করে ফিরে গিয়েছিলেন অভিমন্য ঈশ্বরণ। এদিন সকালে সুদীপ চট্টোপাধ্যায় ও সুদীপ ঘরামি মিলে দলের স্কোরবোর্ড এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব নিয়েছিলেন। কিন্তু একের পর এক উইকেট হারাতে বাংলা দল। সুদীপ চট্টোপাধ্যায় ১১ রান করে ফিরে যান। এরপর টানা ২ জন সিনিয়র ক্রিকেটার মনোজ ও অনুষ্টুপের উইকেট হারায় বাংলা। তরুণ অলরাউন্ডার শাহবাজ আহমেদ ২০ রানের ইনিংস খেলেন। ঋত্বিক চট্টোপাধ্যায় ৯ রান করে আউট হন। এরপর লোয়ার অর্ডারে কেউই দাঁড়াতে পারেননি ক্রিজে। 


এদিকে, ইশান পোড়েলদের (Ishan Porel) দাপটে প্রথম দিনের শেষে ভাল জায়গায় ছিল বাংলা। বরোদার (Baroda) প্রথম ইনিংস ১৮১ রানে গুটিয়ে দেন বাংলার ভোটাররা। যার পরে ব্যাট করতে নেমে প্রথম দিনের শেষে ১ উইকেটে ২৪ রান তুলেছে বাংলা।


টসে জিতে এদিন বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলার অধিনায়ক অভিমন্যু ঈশ্বরণ। দিনের শুরুর দিকে বরোদার ওপেনিং জুটি কিছুটা ইনিংস আগলে রাখলেও ইশান-মুকেশদের ক্রমাগত লাইন-লেংথ মেনে বোলিংয়ের সুফল মিলতে শুরু করে কিছুক্ষণের মধ্যেই। ৪১ রানের মাথায় ইশান পোড়েল কে দেবধরকে সাজঘরে ফিরিয়ে প্রথম ধাক্কা দেন বরোদা শিবিরে। তারপর ক্রমাগত জারি থাকে উইকেট পড়ার জের। ইশান ৪০ রানের ৪ উইকেট নেন। মুকেশ কুমার ৩৩ রানে ৩ উইকেট নেন। আকাশদীপ ২ টি ও শাহবাজ নাদিম ১ টি উইকেট নেন।