সন্দীপ সরকার, কলকাতা: ম্যাচের আগের দিন বাংলার রঞ্জি জয়ী অধিনায়ক সম্বরণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Sambaran Banerjee) তাঁকেই ফাইনালের সম্ভাব্য গেমচেঞ্জার হিসাবে বেছে নিয়েছিলেন।
রঞ্জি ট্রফির (Ranji Trophy) ফাইনালে বাংলার ব্যাটিং বিপর্যয়ের মধ্যে ব্যাট হাতে লড়াই করছেন সেই শাহবাজ আমেদই (Shahbaz Ahmed)। সৌরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে টস হেরে প্রথম ব্যাটিং করছে বাংলা। আর প্রথম ঘণ্টাতেই ব্যাটিং বিপর্যয়। ইডেনের সবুজ বাইশ গজে প্রথম ঘণ্টাতেই ৩৪/৫ হয়ে গিয়েছিল বাংলা। সেখান থেকে ব্যাট হাতে পাল্টা লড়াই করছেন শাহবাজ। লাঞ্চ বিরতিতে বাংলার স্কোর ২৮ ওভারে ৭৮/৬। ৪৮ বলে ২৬ রানে ক্রিজে রয়েছেন শাহবাজ। সঙ্গী অভিষেক পোড়েল। ১৭ বলে ৫ রান করে অপরাজিত তিনি।
সৌরাষ্ট্রের বোলারদের মধ্যে সেরা চেতন সাকারিয়া। মাত্র ২৮ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন তিনি। ২টি উইকেট জয়দেব উনাদকটের। এক উইকেট চিরাগ জানির।
তবে শাহবাজ একবার প্রায় আউট হয়ে যাচ্ছিলেন। প্রেরক মাঁকড়ের বলে তাঁর খোঁচা সেকেন্ড স্লিপের হাতে যেতেই উৎসব শুরু করে দেন সৌরাষ্ট্রের ক্রিকেটারেরা। আম্পায়ার অবশ্য তৃতীয় আম্পায়ারের সাহায্য নেন। বারবার রিপ্লে দেখেও বোঝা যাচ্ছিল না যে, বল সেকেন্ড স্লিপে দাঁড়ানো ফিল্ডারের হাতে পৌঁছনোর আগে মাটি স্পর্শ করেছিল কি না। শেষ পর্যন্ত শাহবাজকে নট আউট দেন তৃতীয় আম্পায়ার।
সাধারণ মানুষ যাতে খেলা দেখতে আসেন, তার জন্য সকলের প্রবেশ অবাধ করে দিয়েছে সিএবি (CAB)। মাঠে এসে বাংলাকে সমর্থন করার আবেদন জানাচ্ছেন সিএবি কর্তারা। ইডেনের (Eden Gardens) সবুজ পিচে সৌরাষ্ট্রকে (Ben vs Sau) দুমড়ে মুচড়ে রঞ্জি (Ranji Trophy) চ্যাম্পিয়ন হবে বাংলা, ঘুচে যাবে ৩৩ বছরের খরা।
কিন্তু ধাক্কাটা খেতে হল বৃহস্পতিবার প্রথম ঘণ্টার মধ্যেই। টস জিতে বাংলাকে ব্যাট করতে পাঠালেন সৌরাষ্ট্রের অধিনায়ক জয়দেব উনাদকট। আর সবুজ পিচে হাহাকার পড়ে গেল বাংলা শিবিরে। মাত্র ৩৪ রানের মধ্যে ব্যাটিং লাইন আপের অর্দ্ধেকে ড্রেসিংরুমে। ১৩ ওভারে মাত্র ৩৪ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে প্রবল চাপে বাংলা। ফিরে গিয়েছেন চলতি মরসুমে বাংলার সেরা ব্যাটার অনুষ্টুপ মজুমদারও। এবং খেলা দেখতে মাঠে আসা সমর্থকরা গ্যালারিতে থিতু হয়ে বসার আগেই দেখলেন, হারের আতঙ্ক জাঁকিয়ে বসেছে বাংলা শিবিরে।
বাংলা শিবির থেকে বলা হচ্ছিল, গতির কড়াইয়ে ফেলা হবে বিপক্ষকে। পেস-অস্ত্রে ঘায়েল করা হবে সৌরাষ্ট্রকে। রাজকোটের মন্থর গতির, লো বাউন্সের উইকেটে খেলে যারা অভ্যস্ত, তাদের পরীক্ষা নেওয়া হবে গতি ও বাউন্সে। যে কারণে সেমিফাইনালে পারফর্ম করেও বাদ পড়তে হয়েছে প্রদীপ্ত প্রামাণিককে। বাঁহাতি স্পিনারের পরিবর্তে খেলছেন মিডিয়াম পেসার আকাশ ঘটক। কিন্তু ম্যাচে দেখা গেল, সবুজ পিচের কৌশল ব্যুমেরাং হয়ে ফালাফালা করে দিল বাংলা শিবিরকেই।
টস জিতে বাংলাকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন সৌরাষ্ট্রের অধিনায়ক জয়দেব উনাদকট। প্রথম ওভারেই বাংলা ইনিংসে ধাক্কা দেন তিনি। ঘড়িতে তখন বাদে ৯.০৬। উনাদকটের বলে শর্ট লেগে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন অভিমন্যু ঈশ্বরণ। মাত্র ২৫ মিনিটের মধ্যে চার উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় বাংলা। আপাতত শাহবাজ ও অভিষেক বাংলা শিবিরকে বিপন্মুক্ত করতে পারেন কি না, সেটাই দেখার।