রাজকোট: রঞ্জি ফাইনালের তৃতীয় দিনের শেষে বাংলার রান ৩ উইকেটে ১৩৪। সৌরাষ্ট্রের থেকে এখনও পিছিয়ে ২৯১ রানে। ক্রিজে ৪৭ রান করে অপরাজিত রয়েছেন সুদীপ চট্টোপাধ্যায়। সঙ্গে ঋদ্ধিমান সাহা। ৪৩ বল খেলে চার রান করে ক্রিজে রয়েছেন তিনি। লাঞ্চের আগে দুই ওপেনারকে হারিয়ে ধাক্কা খেলেও ব্যাট হাতে প্রতিরোধ গড়েছেন বাংলার ব্যাটসম্যানরা। মনোজ তিওয়ারি ও সুদীপের জুটিতে ৮৯ রানে ভর করে বাংলা ঘুরে দাঁড়ায়। তাঁরা প্রায় একটা সেশন ও আরও কিছুটা সময় ব্যাট করেন। এরপর ১১৬ বলে ৩৫ রান করে আউট হন মনোজ। ১২৪ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় বাংলা।
বাংলা লড়াই করছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও বলা যায়, সৌরাষ্ট্রর পাল্লাই এই মুহূর্তে ভারী। শেষ উইকেটে সৌরাষ্ট্রের ৩৮ রান যোগ করে ফেলাটা ফারাক গড়ে দিতে পারে বলে বিশেষজ্ঞদের কেউ কেউ মনে করছেন। কিন্তু দিনের শেষে ১৩৪ রান তুলে ফেলে বাংলা বুঝিয়ে দিয়েছে, তারা ভালোমতোই লড়াইয়ে রয়েছে। এরমধ্যে আর একটি বিষয় চিন্তার কারণ-তা রাজকোটের পিচ। পিচে ফাটল রয়েছে। সেটাই সমস্যার। তবে বোলারদের পক্ষে সহায়ক আর বেশি কিছু নিয়ে এই নিষ্প্রাণ পিচে। ফলে ম্যাচ কোনদিকে গড়াবে তা স্থির করে দিতে পারে চতুর্থ দিনের খেলা।
লাঞ্চের আগে জোড়া উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় বাংলা। দুই ওপেনার সুদীপ ঘরামি ও অভিমন্যু ইশ্বরণ শুরুটা ভালোই করেছিলেন। জয়দের উনাদকট ও সচেতন সাকারিয়ার প্রথম স্পেল তাঁরা সতর্কতার সঙ্গেই খেলেন। কিন্তু বোলার পরিবর্তন হতেই সাফল্য পেল সৌরাষ্ট্র। ৩৫ রানে বাংলার প্রথম উইকেট পড়ল। ধর্মেন্দ্রসিন জাডেজা আউট করলেন ঘরামিকে। প্রতীক মানকড় আউট করেন অভিমন্যুকে। ৩৫ রানেই দ্বিতীয় উইকেট হারায় বাংলা।


রঞ্জি ট্রফির ফাইনালের তৃতীয় দিনে ৪২৫ রানে অলআউট হয়ে যায় সৌরাষ্ট্র।বাংলার হয়ে শাহবাজ আহমেদ ১০৩ রানে তিন উইকেট, আকাশদীপ ৯৮ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন। দ্বিতীয় দিনের শেষে সৌরাষ্ট্রের রান ৮  ছিল উইকেটে ৩৮৪। চিরাগ জানিকে ফিরিয়ে এদিন প্রথম আঘাত হানেন আকাশ দীপ। ৩৮৭ রানে নবম উইকেটের পতন হয়। এরপর শেষ উইকেট জুটিতে ৩৮ রান যোগ হয়। জয়দেব উদানকোটকে আউট করে সৌরাষ্ট্রের ইনিংসে ইতি টেনে দেন শাহবাজ।

ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং নেয় সৌরাষ্ট্র। রাজকোটের মন্থর পিচে প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও প্রথম দিন বাংলার বোলাররা সৌরাষ্ট্রের ব্যাটসম্যানদের ওপর নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে সমর্থ হন। প্রথম দিনের শেষে সৌরাষ্ট্রের রান ছিল  ৫ উইকেটে ২০৬। দ্বিতীয় দিন চেতেশ্বর পূজারা ও অর্পিত ভাসাভাদা জুটি জাঁকিয়ে বসে। তাঁরা দলকে বড় রানের দিকে এগিয়ে নিয়ে যান। চা-পানের বিরতির পর ওই জুটি ভাঙে।