ইনদওর: রঞ্জি ট্রফির (Ranji Trophy) সেমিফাইনালে মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে বড় রান তুলল বাংলা (Ben vs MP)। মনোজ তিওয়ারিদের (Manoj Tiwary) প্রথম ইনিংস শেষ হল ৪৩৮ রানে। শেষ দিন আরও ১৩১ রান যোগ করল বাংলা। ব্যাট হাতে লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিলেন অভিষেক পোড়েল ও মনোজ নিজে।
ইনদওরের হোলকার স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে ম্যাচের প্রথম দিন বাংলা শেষ করেছিল ৩০৭/৪ স্কোরে। সেখান থেকে আরও ১৩১ রান যোগ করল বাংলা। প্রথম দিন ব্যাট হাতে দলকে ভাল জায়গায় রেখেছিলেন অনুষ্টুপ মজুমদার ও সুদীপ ঘরামি। দুজনই সেঞ্চুরি করেছিলেন। দ্বিতীয় দিন বাংলার ইনিংসকে টানলেন মনোজ ও অভিষেক।
মনোজ ৪২ রানে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। তবে আউট হওয়ার বল দেখেও উৎসাহিত হতে পারেন বঙ্গ অধিনায়ক। কারণ, কুমার কার্তিকেয়র বল পিচে পড়ে এতটা ঘুরেছে ও লাফিয়েছে যে, এই পিচে বাংলার স্পিনাররাও এরকম ডেলিভারি করলে মধ্য প্রদেশের ব্যাটাররা চাপে পড়বেন।
হাফসেঞ্চুরি করেন অভিষেক পোড়েল। তবে প্রদীপ্ত প্রামাণিকের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হয়ে যান। ব্যক্তিগত ৫১ রানে। প্রদীপ্ত ২১ রান করেন। তবে টেল এন্ডাররা আর কেউ রান পাননি।
মধ্যপ্রদেশের বোলারদের মধ্যে কুমার কার্তিকেয় ৩ উইকেট নেন। ২টি করে উইকেট গৌরব যাদব ও অনুভব অগ্রবালের।
ম্যাচের প্রথম দিনটা ছিল অনুষ্টুপ মজুমদার ও সুদীপ ঘরামির। প্রতিপক্ষ ফিল্ডারের ছোড়া বল এসে অনুষ্টুপের আঙুলে লাগে। যে আঙুলে আগেও চোট ছিল। যন্ত্রণায় ককিয়ে ওঠেন তিনি। মাঠে দৌড়ে আসেন ফিজিও। শুশ্রূষা চলে। কেউ কেউ ভাবছিলেন, মাঠ ছেড়ে না বেরিয়ে যেতে হয় তাঁকে।
কিন্তু তিনি, অনুষ্টুপ মজুমদার (Ranji Trophy) অন্য ধাতুতে গড়া। ফের গ্লাভস পরলেন। স্টান্স নিলেন। এবং সেঞ্চুরি করে প্রমাণ করলেন, এক ইঞ্চিও জমি ছাড়তে নারাজ। সে প্রতিপক্ষ যতই গতবারের চ্যাম্পিয়ন হোক না কেন।
অভিজ্ঞ অনুষ্টুপকে সঙ্গত করেন তরুণ সুদীপ ঘরামি। সেঞ্চুরি করেন নৈহাটির ক্রিকেটারও। মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে রঞ্জি ট্রফির সেমিফাইনালের প্রথম দিনের শেষেই ম্যাচের রাশ ছিল বাংলার হাতে। দিনের শেষে বাংলার স্কোর ছিল ৩০৭/৪। ২০৬ বলে ১২০ রান করেন অনুষ্টুপ। সুদীপ আউট হন ২১৩ বলে ১১২ রান করে। ব্যাটারদের পর এবার পরীক্ষা বাংলার বোলারদের।
আরও পড়ুন: ABP Exclusive: ১০৬৭-র জবাবে প্রতিপক্ষ অল আউট মাত্র ৪ রানে! মেয়র্স কাপে বিরল রেকর্ড