কলকাতা: রঞ্জি ট্রফির (Ranji Trophy) ফাইনালে কার্যত পৌঁছেই গিয়েছে মুম্বই। উত্তরপ্রদেশের বোলারদের নিয়ে সেমিফাইনালে ছেলেখেলা করছে মুম্বই। বাংলা কি রঞ্জি ফাইনালে তাদের মুখোমুখি হওয়ার সুযোগ পাবে?


উত্তরের জন্য শনিবারের দিকে তাকিয়ে থাকবেন বাংলার ক্রিকেটপ্রেমীরা। যেদিন অগ্নিপরীক্ষা দেবেন বাংলার ব্যাটাররা। মধ্য়প্রদেশকে (Bengal vs MP) হারাতে গেলে এখনও ২৫৪ রান করতে হবে বাংলাকে। এবং সেটা করতে হবে বেঙ্গালুরুর অদূরে আলুর ক্রিকেট মাঠের শেষ দিনের পিচে। যে পিচে বল পড়ে লাফাচ্ছে, কখনও নীচু হচ্ছে। সাহায্য পাচ্ছেন স্পিনাররাও। তবে উইকেট এখনও ব্যাটিংয়ের পক্ষে ভাল। যা দেখিয়ে দিয়েছেন বাংলার অধিনায়ক অভিমন্যু ঈশ্বরণ। চতুর্থ দিনের শেষে যিনি ৫২ রানে অপরাজিত। তাঁর সঙ্গে ক্রিজে অনুষ্টুপ মজুমদার। চাপের মুখে রান করা যিনি অভ্যাসে পরিণত করে ফেলেছেন। দ্বিতীয় ইনিংসে ৮ রানে অপরাজিত রয়েছেন তিনি। শুক্রবার, ম্যাচের চতুর্থ দিনের শেষে বাংলার স্কোর ৯৬/৪।


শুক্রবার দিনের শুরুর অর্ধে ছিলে বাংলার স্পিনারদের দাপট। দিন শুরু হয়েছিল মধ্যপ্রদেশের ১৬৩/২ স্কোরে। আইপিএলে ইডেনে সেঞ্চুরি করা রজত পতিদার তখন ৬৩ রান করে ক্রিজে। মনে করা হচ্ছিল, বাংলাকে কোণঠাসা করে ফেলবেন অভিজ্ঞ কোচ চন্দ্রকান্ত পণ্ডিতের ছাত্ররা।


কিন্তু সেখান থেকে প্রত্যাঘাত করেন বাংলার স্পিনাররা। শাহবাজ আমেদ ও প্রদীপ্ত প্রামাণিক। দুই বাঁহাতি স্পিনারকে একসঙ্গে খেলানোয় সমালোচিত হয়েছিল বাংলা শিবির। শুক্রবার দুজনে মিলে নিলেন ৯ উইকেট। শাহবাজ ৭৯ রানে ৫টি ও প্রদীপ্ত ৬৫ রানে ৪টি উইকেট নেন। ১১৮ রানের মধ্যে শেষ আট উইকেট হারায় মধ্যপ্রদেশ। দুই স্পিনারের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন বাংলার অধিনায়কও। অভিমন্যু বলেছেন, 'ওদের জন্যই ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ালাম আমরা।'


তবে রান তাড়া করতে নেমে স্বস্তিতে নেই বাংলা। শুরুতেই কুমার কার্তিকেয়র বলে কোনও রান না করে ফেরেন অভিষেক রামন। রান পাননি সুদীপ ঘরামি (১৯), অভিষেক পোড়েল (৭) ও প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি করা মনোজ তিওয়ারি (৭)। শেষ দিন কঠিন লক্ষ্য হলেও হাল ছাড়ছেন না বাংলার কোচ অরুণ লাল। বলেছেন, 'এখান থেকে বড় পার্টনারশিপ চাই। পিচ ব্যাটিংয়ের জন্য এখনও ভাল। নতুন বল বরং ঘুরছে। বল পুরনো হলে ব্যাটিং সহজ হয়ে যাচ্ছে।'


আরও পড়ুন: শ্বশুরবাড়িতে আদরে-সমাদরে বরণ, রাজকীয় জামাইষষ্ঠী পালন সুনীলের