ইনদওর: প্রতিশোধের মঞ্চে জ্বলে উঠল বাংলার টপ অর্ডার। মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে রঞ্জি ট্রফির (Ranji Trophy) সেমিফাইনাল ম্যাচে জাঁকিয়ে বসল বাংলা (Bengal Cricket Team)। গতবারের চ্যাম্পিয়নদের বিরুদ্ধে চা পানের বিরতিতে বাংলার স্কোর ২১৩/২। মাত্র ৬১ ওভারে।


আর ব্যাট হাতে বাংলাকে স্বপ্ন দেখাচ্ছেন অনুষ্টুপ মজুমদার (Anustup Mazumdar) ও সুদীপ ঘরামি (Sudip Gharami)। দুজনই যেভাবে ব্যাট করছেন, তাতে উইকেট ছুড়ে দিয়ে না এলে তিন অঙ্কের রান বাঁধা। চা পানের বিরতির সময় ১৫০ বলে ৮০ রান করে ক্রিজে অনুষ্টুপ। তাঁর ইনিংস সাজানো ৮টি চার ও একটি ছক্কায়। ১৩৮ বলে ৭৪ রানে অপরাজিত সুদীপ ঘরামি। তিনিও মেরেছেন ৮টি বাউন্ডারি। সঙ্গে জোড়া ছক্কা।


মধ্যাহ্নভোজ থেকে চা পানের বিরতি পর্যন্ত ২৯ ওভারে ১০৬ রান যোগ করেছে বাংলা। প্রথম সেশনে ওভার প্রতি ৩.৪৭ রান করে তুলেছিল বাংলা। দ্বিতীয় সেশনে ওভার প্রতি ৩.৫২ রান করে তুলেছেন অনুষ্টুপ-সুদীপ। অবিচ্ছেদ্য তৃতীয় উইকেটে ২৮৬ বলে ১৬২ রান যোগ করেছেন দুজনে।


বাংলার ওপেনাররা ভাল শুরু করলেও, আচমকাই ঘনিয়েছিল উদ্বেগের মেঘ। ৪ বলের ব্যবধানে ছিটকে গিয়েছিল দুই ওপেনারের স্টাম্প। প্রথমে অভিমন্যু ঈশ্বরণ। গৌরব যাদবের বলের লাইন ফস্কে বোল্ড হন অভিমন্যু। ৩৩ বলে ২৭ রান করে। তার ৪ বল পড়েই কার্যত একই কায়দায় বোল্ড হন কর্ণ। অনুভব অগ্রবালের বলের লাইন ফস্কে। ৪৫ বলে ২৩ রান করেন কর্ণ। টস জিতে প্রথম ব্যাটিং করে বিনা উইকেটে ৫০ রান থেকে এক সময় ৫১/২ হয়ে গিয়েছিল বাংলা।


কিন্তু সেখান থেকে বাংলা ইনিংসকে টেনে তুলেছেন কার্যত দুই প্রজন্মের দুই ব্যাটার। অভিজ্ঞ অনুষ্টুপ মজুমদার ও তরুণ তুর্কি সুদীপ ঘরামি। মধ্যাহ্নভোজের বিরতিতে বাংলার স্কোর ছিল ১১১/২। 


তবে ক্রিজে একবার প্রাণরক্ষা হয়েছে সুদীপের। ব্যক্তিগত ২৬ রানের মাথায় সারাংশ জৈনের বলে খোঁচা দিয়েছিলেন নৈহাটির ক্রিকেটার। কিন্তু প্রথম স্লিপে তাঁর ক্যাচ ফেলে দেন রজত পাতিদার।


অনুষ্টুপ অবশ্য কোনও সুযোগ দেননি। বরং ভাঙা আঙুল নিয়েও লড়াই চালালেন। তাঁর হাতের বুড়ো আঙুলে চিড় রয়েছে। সেখানে টেপ জড়িয়ে ব্যাটিং করছেন। রান নেওয়ার সময় প্রতিপক্ষের ছোড়া বলে আঙুলে ফের চোট পান এদিন। কিন্তু লড়াই ছাড়েননি। তাঁদের পার্টনারশিপ স্বপ্ন দেখাচ্ছে বাংলাকে।


আরও পড়ুন: কাউন্টডাউন শুরু...ফটোসেশনেই নিজের লক্ষ্য বুঝিয়ে দিলেন রোহিত, সূর্যরা