নয়াদিল্লি: সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে উত্তাল দেশ। বিশেষ করে অসম, পশ্চিমবঙ্গ সহ উত্তর-পূর্ব ভারতের একাধিক রাজ্যে এই আইনের বিরোধিতায় নেমেছে মানুষ। প্রভাব পড়েছে কেরল, উত্তরপ্রদেশেও। বিক্ষোভকারীদের জঙ্গি আন্দোলনে ক্ষতি হয়েছে সরকারি সম্পত্তির। কোথাও সরকারি গাড়ি ভাঙচুর, কোথাও রেল স্টেশনে তাণ্ডব, কোথাও আবার জ্বলেছে একের পর এক ট্রেন। পাল্টা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পথে নেমেছে প্রশাসনও। যার ফলে সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে। প্রাণ হারান বহু। সরকার যেখানে বলছে এই আইনে নাগরিকত্ব কেড়ে নেওার কথা বলা নেই, নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা রয়েছে। সেখানেই বিরোধীদের পাল্টা যুক্তি, আফগানিস্তান, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলে আসলে ‘মুসলিম বিরোধী’ অবস্থান নিচ্ছে সরকার। একে সংবিধান বিরোধী বলেও সমালোচনা করছেন কংগ্রেস, তৃণমূল, বাম সহ আরও একাধিক রাজনৈতিক দল। কেরলের মতো বাম শাসিত রাজ্যে এই আইনের প্রতিবাদে বিধানসভায় পর্যন্ত ‘অ্যান্টি সিএএ’ প্রস্তাব পাশ হয়েছে। এদিকে গোটা রাজ্যেই সিএএ বিরোধী আন্দোলন শুরু করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে বিজেপি শাসিত কেন্দ্র সরকারও নিজের অবস্থানে স্থির। সিএএ থেকে একচুলও সরে আসবে না তারা। এই পরিস্থিতিতে দেশের মানুষকে ‘ধৈর্য’ ধরার পরামর্শ দিলেন ভারতীয় দলের কোচ রবি শাস্ত্রী।


সরকার নিশ্চিতভাবে পরিকল্পনা করেই নাগরিকত্ব আইন সংশোধন করেছে, মত ভারতীয় ক্রিকেট দলের কোচের। রবি শাস্ত্রীর কথায়, “সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে চারিদিকে যা চলছে তা দেখার পর আমি একজন ভারতীয় হিসেব গোটা বিষয়টি দেখছি। আমাদের দলেও বিভিন্ন জাত, বিভিন্ন ধর্মের ক্রিকেটার রয়েছে। তবে আমরা সবাই ভারতীয়। ধৈর্য ধরুন, আমি সিএএ-তে অনেক ইতিবাচক দিক দেখতে পাচ্ছি, যা ভবিষ্যতে দেশের পক্ষে ভাল হবে।”


এখানেই শেষ নয়। আরও একধাপ এগিয়ে রবি শাস্ত্রীর বক্তব্য, “কোনও ধর্মের কথা বলছি না, আমি একজন ভারতীয় হিসেবে বলছি। খেলার সময় থেকেই এই বোধ তৈরি হয়েছে এবং একজন ভারতীয় হিসেবে আমার মত প্রকাশের অধিকার রয়েছে।”