গুয়াহাটি: রাজস্থান রয়্যালসের (Rajasthan Royals) বিরুদ্ধে ২০০ রানের তাড়া করতে নেমে ১৪২ রানেই থমকে গেল দিল্লি ক্যাপিটালস (Delhi Capitals)। ডেভিড ওয়ার্নার (David Warner) ৬৫ রানের ইনিংস খেললেও, ট্রেন্ট বোল্টের (Trent Boult) তিন উইকেটে ভর করে মরসুমের দ্বিতীয় ম্যাচ জিতে নিল রাজস্থান রয়্যালস।
অনবদ্য বোল্ট
রাজস্থান ওপেনার জয়সবাল নিজেদের ব্যাটিং ইনিংসের প্রথম ওভারে পাঁচটি চার মেরেছিলেন। দিল্লির ব্য়াটিং ইনিংসে সম্পূর্ণ ভিন্ন ছবি। ট্রেন্ট বোল্ট বল হাতে আগুন ঝরালেন। বোল্টের সুইংয়ে পরাস্ত হয়ে খাতার খোলার আগেই সাজঘরে ফেরেন পৃথ্বী ও মণীশ পাণ্ডে। পাওয়া প্লে শেষ হওয়ার আগেই রাইলি রুসোও সাজঘরে ফেরেন। ৩৬ রানে তিন উইকেট হারিয়ে ফেলে দিল্লি ক্যাপিটালস। শুরুতেই পরপর ধাক্কা খেলেও ডেভিড ওয়ার্নার ও ললিত যাদব চতুর্থ উইকেটে অর্ধশতরানের পার্টনারশিপ গড়ে দিল্লিকে লড়াইয়ে ফেরান।
ভয়ঙ্কর হয়ে উঠা চতুর্থ উইকেট ভাঙতে রাজস্থান অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন ফের একবার ট্রেন্ট বোল্টকে বোলিংয়ে ডেকে নেন। তিনি কিন্তু অধিনায়ককে হতাশ করেননি। ললিত যাদবকে ৩৮ রানে ফেরান বোল্ট। ললিত আউট হতেই দিল্লি খেই হারিয়ে ফেলে। ডেভিড ওয়ার্নার অর্ধশতরান করলেও, তাঁকে কেউই যোগ্য সঙ্গ দিতে পারেননি। বাংলার অভিষেক পোড়েলও মাত্র সাত রানে সাজঘরে ফেরেন। ওয়ার্নার জীবনদান পেলেও, ৬৮ রানে সাজঘরে ফেরেন। শেষমেশ দিল্লি ১৪২ রানের বেশি আর করতে পারেনি।
প্রথম ইনিংস
ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন দিল্লি ক্যাপিটালসের অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার। সকলকে খানিকটা চমকে দিয়েই দিল্লি একাদশ থেকে বাদ দেওয়া হয় পৃথ্বী শকে। ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পেয়ে দুই রাজস্থান ওপেনার যশস্বী জয়সবাল ও জস বাটলার শুরুটা দারুণভাবে করেন। খলিল আমেদের প্রথম ওভারেই পাঁচ পাঁচটি চার হাঁকান যশস্বী। পাওয়ার প্লেতেই বিনা উইকেটে ৬৮ রান তুলে ফেলে রাজস্থান। যশস্বীই বেশি আক্রমক ভঙ্গিমায় ব্যাট করছিলেন। মাত্র ২৫ বলে নিজের অর্ধশতরান পূর্ণ করেন তিনি।
দুই ওপেনারের দুরন্ত ব্যাটিংয়ে তরতরিয়ে এগিয়ে যাওয়া রাজস্থান ইনিংসে লাগাম লাগান মুকেশ কুমার। ৬০ রানে যশস্বীকে সাজঘরে ফেরত পাঠান তিনি। ৯৮ রানের ওপেনিং পার্টনারশিপ ভাঙে। যশস্বী আউট হওয়ার পরেই নিয়ন্ত্রিত বোলিং করে ম্যাচ প্রত্যাবর্তন ঘটায় দিল্লি। সঞ্জু স্যামসন (০), রিয়ান পরাগ (৭) বড় রান করতে ব্যর্থ হন। তবে যখনই মনে হচ্ছিল দিল্লি ম্যাচের রাশ সম্পূর্ণভাবে নিজেদের দখলে নিয়ে নেবে, তখনই আক্রমণ শুরু করেন বাটলার।
গত মরসুমে ওয়াংখেড়ে দিল্লির বিরুদ্ধে ১১৬ রানের ইনিংস খেলেছিলেন ইংল্যান্ড তারকা বাটলার। এদিন আবারও নিজের শতরানের দিকে এগোচ্ছিলেন তিনি। তবে এবারও দিল্লির ত্রাতা হয়ে উঠেন মুকেশ। ৭৯ রানে বাটলরাকে বাংলার ফাস্ট বোলারই সাজঘরে ফেরত পাঠান। শিমরন হেটমায়ার অবশ্য ৩৯ রানের ছোট্ট কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন। তবে দু'শোর গণ্ডি পার করতে পারেনি রাজস্থান। এদিন দুই উইকেট নেওয়া মুকেশই দিল্লির সফলতম বোলার। তিনি ছাড়া কুলদীপ যাদব ও রভম্যান পাওয়েল একটি করে উইকেট নেন।
আরও পড়ুন: আইপিএলে কবে খেলবেন লিটন? বড় আপডেট দিল কেকেআর