কলকাতা: রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সের ব্যাঙ্গালোরের বিরুদ্ধে অসাধ্য সাধন প্রায় করেই ফেলেছিলেন তিনি। জয়ের জন্য ২১৪ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে ২৫ বলে ৬৫ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন আন্দ্রে রাসেল। তবু শেষরক্ষা হয়নি। ছয় নম্বরে নেমে বিধ্বংসী ব্যাটিং করেও অল্পের জন্য রাসেল জেতাতে পারেননি দলকে। ইডেনে মাত্র দশ রানে ম্যাচ হারতে হয় কলকাতা নাইট রাইডার্সকে।


ম্যাচের শেষে রাসেলকে বিরক্তি প্রকাশ করতে দেখা যায় তাঁর ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে। চলতি আইপিএলে প্রায় প্রত্যেক ম্যাচে ব্যাট হাতে তাণ্ডব চালাচ্ছেন ক্যারিবিয়ান তারকা। তবু তাঁকে নামানো হচ্ছে ব্যাটিং অর্ডারের নীচের দিকে। শুক্রবার ঘরের মাঠেও তাঁকে  ছয় নম্বরে নামায় কেকেআর। যা নিয়ে ম্যাচের শেষে রাসেলের নিজস্ব মতামত জানতে চাওয়া হয়। সাংবাদিক বৈঠকে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, আপনার কি চার নম্বরে ব্যাট করা উচিত ছিল বলে মনে করেন না? রাসেল শুরুতেই ঠোঁটের ডগায় আঙুল দিয়ে 'নো কমেন্টস' ইঙ্গিত করেন। তারপর বলেন, 'আমি তাই মনে করি। সত্যি কথা বলতে কী, আমার মতে দল নিয়ে কখনও কখনও একটু নমনীয় হতেই হয়। আমাদের দলের যা অবস্থা, তাতে চার নম্বরে ব্যাট করতে আমার ভালই লাগবে।'

বিগহিটার রাসেল আরও বলেছেন, 'আমি ব্যাটিং অর্ডারের ওপরের দিকে নামলে বিরাট কোহলি ওর সেরা বোলারদের আক্রমণে আনত। তাতে শেষের দিকে সেরা বোলারদের হাতে খুব বেশি ওভার অবশিষ্ট থাকত না। তাই শুরুর দিকে নেমে আমি ২৫ বলে ৬০ রান করলে দলের শুরুটা যেমন ভাল হবে, তেমনই ডেল স্টেনের মতো বোলারের হাতে ডেথ ওভারের জন্য হয়তো এক ওভার পড়ে থাকবে। বা হয়তো পুরো বোলিং কোটাই শেষ হয়ে যাবে। আমি ওপরের দিকে ব্যাট করলে নিশ্চিতভাবেই দল উপকৃত হবে।'

পরপর ম্যাচ হারায় নাইটদের প্লে-অফে ওঠার রাস্তা ক্রমশ কঠিন হয়ে উঠছে। শুক্রবার ঘরের মাঠে কোহলি ব্রিগেডের কাছে হারের জন্য অনেকেই দায়ী করছেন মিডল অর্ডারে রবিন উথাপ্পা-শুবমান গিলদের মন্থর ব্যাটিংকে। উথাপ্পা ২০ বল খেলে ৯ রান করেন। শুবমান ১১ বল খেলে করেন ৯ রান। বিরাটের ব্যাটিং বিক্রম আর সেঞ্চুরি দেখার পর উথাপ্পা-শুবমানের পারফরম্যান্সে টি-টোয়েন্টির মারকাটারি শো কিছুটা যেন ধাক্কা খেয়েছিল। যদিও দর্শকদের সমস্ত আক্ষেপ মিটিয়ে বিনোদনের পসরা সাজিয়ে দেন রাসেল ও নীতিশ রানা। পঞ্চম উইকেটে মাত্র ৪৮ বলে ১১৮ রান যোগ করে কেকেআর-কে প্রায় জিতিয়েই দিয়েছিল এই জুটি।

রাসেল বলেছেন, 'টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এক ওভারও ফারাক গড়ে দিতে পারে। আমার আর নীতিশের পার্টনারশিপটা দলকে এই বিশ্বাস জুগিয়েছে যে, ২২০ রান তাড়া করতে নেমেও আমরা জিততে পারি।' তাঁর নিজের সাফল্যের নেপথ্যে রাসেল কৃতিত্ব দিয়েছেন চাপমুক্ত থাকতে পারাকে। বলেছেন, 'আমি আউট হওয়ার ভয় পাই না। সে জন্যই সফল হচ্ছি।'