ডারবান: দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ডারবান টেস্টে আম্পায়ারিং নিয়ে নিজেদের ক্ষোভ উগরে দিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের কোচ ও ক্রিকেটাররা। দলের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সব সবাই আম্পায়ারিংয়ের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন। ম্যাচে আম্পায়ারিং করছেন শেষ মরসুমে বর্ষসেরা মারাইস ইরাসমাস। ১০৮ টেস্ট, ১৬৪ ওয়ানডে ও ৫১টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ পরিচালনার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। ইরাসমাসের সঙ্গী এড্রিয়ান হোল্ডস্টক টেস্ট পরিচালনা করেছেন ৬টি। তবে ওয়ানডেতে ৪৭ ম্যাচ আর টি-টোয়েন্টিতে ৬৫ ম্যাচের অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর।


বিতর্কের কেন্দ্রে আম্পায়ারিং


খেলার চতুর্থ দিনে আম্পায়ারের অনেকগুলো সিদ্ধান্ত গিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেটের বিপক্ষে। প্রত্যেকটি ক্লোজ কল ছিল। আর সবচেয়ে বড় কথা বাংলাদেশের ক্রিকেটার ও সাপোর্ট স্টাফদের অভিযোগ এই কারণে বেশ কিছু কল রিভিউতে গিয়ে আম্পায়ার্স কল হয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে গিয়েছে। মাঠে এ নিয়ে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের শরীরী ভাষায় হতাশা ফুটে ওঠেছিল। দিনের খেলা শেষে আম্পায়ারদের সঙ্গে কথা বলেন ক্রিকেটার তামিম ইকবাল। বাংলাদেশ দলের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ বললেন, এতটা অধারাবাহিক আম্পায়ারিং তিনি অনেক দিন দেখেননি। আম্পায়ারিংয়ের সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হচ্ছে। যা দেখে ক্রিকেট ভক্তরা নিজেদের মত জানাচ্ছেন। বাংলাদেশের ক্রিকেট অপারেশন্সের প্রধান জালাল ইউনুস বলেছেন, ''এক দিনের সিরিজের পরেই আমরা অভিযোগ জানিয়েছিলাম। ম্যাচ রেফারি প্রথমে আমাদের ম্যানেজার নাফিস ইকবালের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন। এই টেস্ট ম্যাচ নিয়েও অভিযোগ জানানো হয়েছে।''


এর আগে এক দিনের সিরিজে খারাপ আম্পায়ারিং নিয়ে অভিযোগ জানানো হয়েছে। এ বারও বাংলাদেশের অভিযোগের বিষয় একই। শুধু তাই নয়, দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটাররা অনবরত ‘নিন্দনীয়’ স্লেজিং করে যাওয়ার পরেও আম্পায়াররা উদাসীন থেকেছেন বলে অভিযোগ আনা হয়েছে। বাংলাদেশ অধিনায়ক মোমিনুল হক বলেন, ''সাধারণ স্লেজিং হলে ঠিক আছে। কিন্তু আমরা বলা সত্ত্বেও আম্পায়াররা সে দিকে নজরই দেননি। আম্পায়ারিং আমাদের নিয়ন্ত্রণে ছিল না। আইসিসি-র এ বার উচিত নিরপেক্ষ আম্পায়ার খেলানো।''