সিডনি: বিশ্বের বিভিন্ন টি-টোয়েন্টি লিগে দাপুটে মেজাজে একাধিক নজরকাড়া ইনিংস খেলেছেন রাইলি রুসো (Rilee Rossouw)। তবে জাতীয় দলের হয়ে খুব বেশি সাফল্য আসেনি। ধারাবাহিকতার অভাবে বাদও পড়তে হয়েছে দল থেকে। কিন্তু হালে দলে ফেরার পর থেকেই দুর্দান্ত ছন্দে দক্ষিণ আফ্রিকার বাঁ-হাতি টপ অর্ডার ব্যাটার। পরপর দুই আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ইনিংসে শতরান করে ফেললেন রুসো।
ব্যর্থ বাভুমা
ভারতের বিরুদ্ধে দ্বিপাক্ষিক টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচে শতরান করেছিলেন রুসো। আজ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে (SA vs BAN) টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের (T20 World Cup) সুপার ১২-র ম্যাচেও আবারও সেঞ্চুরি হাঁকালেন তিনি। শুধু তাই নয় কুইন্টন ডি কককে সঙ্গে নিয়ে গড়ে ফেললেন ইতিহাসও। এদিন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন প্রোটিয়া অধিনায়ক তেম্বা বাভুমা। তবে ব্যাট হাতে তাঁর খারার ফর্ম অব্যাহত। গত ম্যাচের মতোই নতুন বল হাতে নিজের প্রথম ওভারেই দলকে সাফল্য এনে দিয়েছিলেন তাসকিন আহমেদ। মাত্র দুই রানে তিনি বাভুমাকে ফেরান।
রুসোর শতরান
তবে বাভুমা দ্রুত আউট হলেও, ডি কক এবং রুসো দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসের হাল ধরেন। দুই বাঁ-হাতি তারকা মিলে দ্বিতীয় উইকেটে প্রোটিয়া দলের ১৬৩ রান যোগ করেন। এটিই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সর্বকালের সর্বোচ্চ পার্টনারশিপ। ডি কক ৬৩ রানে আউট হলেও, রুসো কিন্তু নিজের ইনিংস চালিয়ে যান। দেখতে দেখতে শতরান পূরণ করে ফেলেন তিনি। ১০৯ রানের ইনিংস খেলেন রুসো।
ডি কক এবং রুসোর পার্টনারশিপে ভর করেই দক্ষিণ আফ্রিকা নির্ধারিত ২০ ওভারে পাঁচ উইকেটের বিনিময়ে ২০৫ রান তোলে। বাংলাদেশের হয়ে দলের অধিনায়ক শাকিব আল হাসানই সফলতম বোলার। তিনি ৩ ওভারে ৩৩ রানের বিনিময়ে দুই উইকেট নেন। জবাবে মাত্র ১০১ রানেই শেষ হয়ে যায় বাংলাদেশ। ১০৪ রানের বিরাট ব্যবধানে ম্যাচে জয় পায় প্রোটিয়া বাহিনী। বল হাতে চার উইকেট নেন এনরিক নোখিয়া।
আরও পড়ুন: সিডনিতে দুর্বল নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে ফর্মের খোঁজে ভারতীয় ওপেনাররা