নয়াদিল্লি: বল বিকৃতিকাণ্ডের কলঙ্ক এখন অতীত। নির্বাসনের পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আঙিনায় নয়া রূপকথার আলপনা আঁকছে স্টিভ স্মিথের ব্যাট। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে চলতি অ্যাশেজ সিরিজের প্রথম টেস্ট দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি করে রাজকীয় প্রত্যাবর্তন প্রাক্তন অজি অধিনায়কের। দ্বিতীয় টেস্টে জোফরা আর্চারের বিষাক্ত বাউন্সারে জখম হয়েছিলেন।পরে ব্যাট করতে নেমে সেঞ্চুরি থেকে আট রান দূরে থামতে হয়েছিল তাঁকে। আঘাতের কারণে ওই টেস্টে আর খেলতে পারেননি। সিরিজের তৃতীয় টেস্টেও খেলা হয়নি তাঁর। কিন্তু ম্যাঞ্চেস্টারে চতুর্থ টেস্ট স্মিথ দেখালেন, তাঁর দৃঢ় মানসিকতায় কোনও টোল ফেলতে ব্যর্থ হয়েছে মারাত্মক বাউন্সারও।স্মিথের ব্যাটে অব্যাহত রানের বন্যা। ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকালেন টেস্ট ক্রিকেটের এক নম্বর ব্যাটসম্যান।
এই ইনিংস খেলার পথে ভেঙেছেন সচিন তেন্ডুলকরের রেকর্ড। দ্রুততম ২৬ টি শতরান সংগ্রহের ক্ষেত্রে ডন ব্র্যাডম্যানের পরেই দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছেন স্মিথ। চতুর্থ টেস্টের দ্বিতীয় দিনে স্মিথের ব্যাট থেকে এল ২১১ রান। অস্ট্রেলিয়া ইনিংস ডিক্লেয়ার করে আট উইকেটে ৪৯৭ রানে।
স্মিথের এই ব্যাটিং বিক্রমে মুগ্ধ সচিন। ট্যুইটে স্মিথের ব্যাটিং কৌশলের ব্যাখ্যাও দিয়েছেন তিনি।বাকিদের থেকে স্মিথ কোথায় আলাদা, সে কথা জানিয়েছেন সচিন। লিখেছেন, ‘স্মিথের টেকনিক খুব জটিল। কিন্তু খুব গোছানো মানসিকতার মালিক। এটাই স্মিথকে বাকিদের থেকে আলাদা করে দিয়েছে। অবিশ্বাস্য প্রত্যাবর্তন!’



টেস্টের দ্বিতীয় দিন ৬০ রানে ব্যাটিং শুরু করেছিলেন স্মিথ। জোফরা আর্চার কয়েকবার ঝামেলায় ফেলেছিলেন তাঁকে। কিন্তু এতে তাঁর রানের গতি রুদ্ধ হয়নি। ১২ মাসের নির্বাসনের মেয়াদ কাটিয়ে চলতি সিরিজে এখনও পর্যন্ত ৫৮৯ রান করেছেন স্মিথ। গড় ১৪৭.২৫।
দ্বিশতরানের ইনিংস খেলার পথে অবশ্য দুবার জীবনদান পেয়েছেন স্মিথ। ৬৫ রানে যখন ব্যাট করছিলেন, তখন আর্চারের একটি ফুলটস বলে সজোরে ব্যাট চালিয়েছিলেন। কিন্তু আর্চার কট অ্যান্ড বোল্ডের সুযোগ হাতছাড়া করেন। ১১৮ রানে স্লিপে বেন স্টোকসের হাতে ক্যাচ তোলেন তিনি। কিন্তু রিপ্লেতে দেখা যায়, বোলার নো বল করেছেন।