নয়াদিল্লি: ভারতীয় ক্রিকেটের কিংবদন্তি সচিন তেন্ডুলকরকে একদিনের আন্তর্জাতিকের দল থেকে বাদ দেওয়ার কথা ভেবেছিলেন নির্বাচকরা। ২০১২ সালে সচিন অবসর না নিলে তাঁকে দল থেকে বাদ পড়তে হত। এমনই চাঞ্চল্যকর খবর জানিয়েছেন প্রাক্তন নির্বাচক প্রধান সন্দীপ পাতিল। তাঁর দাবি, নির্বাচকদের মনোভাব বুঝতে পেরেই অবসরের সিদ্ধান্ত নেন সচিন।


এক সাক্ষাৎকারে পাতিল বলেছেন, ‘২০১২ সালের ১২ ডিসেম্বর নাগপুরে ভারত-ইংল্যান্ড টেস্ট চলাকালীন আমরা সচিনের সঙ্গে দেখা করে ওর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা জানতে চাই। ও বলে এখনই অবসর নেওয়ার ইচ্ছা নেই। কিন্তু নির্বাচক কমিটি ততদিনে ওকে বাদ দেওয়ার বিষয়ে একমত হয়ে গিয়েছিল। বোর্ডকে সে কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সচিন বুঝতে পেরেছিল দল নির্বাচনের পরবর্তী বৈঠকে কী হতে চলেছে। সেই কারণেই ও আমাকে এবং তৎকালীন বোর্ড সচিব সঞ্জয় জাগদালেকে ফোন করে বলে, টেস্টে মন দিতে চায়। এরপরেই একদিনের ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার কথা ঘোষণা করে সচিন। ও অবসর না নিলে আমরা অবশ্যই বাদ দিতাম।’
একদিনের ক্রিকেটের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলা, সবচেয়ে বেশি রান করা এবং সর্বাধিক শতরানের রেকর্ড সচিনের দখলে। তা সত্ত্বেও তাঁকেই বাদ দেওয়ার কথা ভেবেছিল বোর্ড। ২০১৫ সালের বিশ্বকাপের কথা ভেবে নতুন করে দল গঠন করার কথা জানান বোর্ডের তৎকালীন চিফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অফিসার রত্নাকর শেট্টি। সেই কারণেই তিনি সচিনের অবসরের পক্ষে মত প্রকাশ করেন।

সচিনকে একদিনের দল থেকে বাদ দেওয়ার কথা ভাবলেও, টেস্ট থেকে তাঁর অবসরের ক্ষেত্রে বোর্ডের কোনও চাপ ছিল কি না সে বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি পাতিল। তিনি এ বিষয়ে গোপনীয়তা বজায় রাখার পন্থা অবলম্বন করেছেন।