ম্যাচের সম্প্রচারকারী চ্যানেলে লক্ষ্মণ বলেন, ‘এই স্ট্র্যাটেজি (চার নম্বরে ব্যাট করার) সফল হবে বলে মনে হয় না।’ লক্ষ্মণ তুলে আনেন সচিন তেন্ডুলকরের প্রসঙ্গ। বলেন, ‘বিশ্বের সর্বকালের সেরা ক্রিকেটার সচিন। তবে ও কখনওই চার নম্বরে ব্যাট করা উপভোগ করত না।’
নিজের মতের স্বপক্ষে লক্ষ্মণের যুক্তি, ‘যে কেউ চাইবে দলের সেরা ব্যাটসম্যান সবচেয়ে বেশি ডেলিভারি খেলুক, ম্যাচের রাশ হাতে তুলে নিক এবং ম্যাচ শেষ করে আসুক। বিশেষ করে বিশ্বমানের বোলিং আক্রমণের বিরুদ্ধে। এই অস্ট্রেলিয়ার বোলিং আক্রমণের বিরুদ্ধে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার কোনও জায়গা নেই।’ লক্ষ্মণ যোগ করেছেন, ‘আমি জানি কেএল রাহুলকে ফর্মের জন্য এবং শিখর ধবনকে অভিজ্ঞতার জন্য খেলাতে চাইবে যে কেউই। তবে ওয়ান ডে-তে রাহুলকে চার নম্বরে খেলানো উচিত। বিরাট কোহলিকে তিনে ব্যাট করতে হবে আর ম্যাচের গতিপথ সাজিয়ে দিতে হবে, ইনিংসের শেষ পর্যন্ত থাকতে হবে।’
লক্ষ্মণের সঙ্গে ধারাভাষ্য দেওয়া ম্যাথু হেডেনও কোহলির নিজের তিন নম্বর ব্যাটিং পজিশন ছেড়ে চারে ব্যাট করতে আসার সমালোচনা করেছেন। কোহলি নিজে বলেছেন, ‘আগেও এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বিশেষ করে কেএল যে ছন্দে ব্যাট করছে। ওকে প্রথম একাদশে জায়গা করে দেওয়ার চেষ্টা করেছি। তবে আমি চার নম্বরে ব্যাট করায় দলের সুবিধা হয়নি। এটা নিয়ে আবার ভাবতে হবে। তবে অন্যান্যদের সুযোগও দিতে হবে। একটা ম্যাচের ফল দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়লে চলবে না। আমার মনে হয় পরীক্ষী-নিরীক্ষা করার সুযোগ পাওয়া উচিত।’