সিডনি: ব্যাটিং টেকনিকের দিক থেকে সেরা সচিন তেন্ডুলকর। আর বিরাট কোহলি ক্রিকেটের তিন ফর্ম্যাটে বর্তমানে বিশ্বসেরা। এমনই মত মাইকেল ক্লার্কের।


তাঁর দেখা সেরা সাত ব্যাটসম্যানের তালিকা তৈরি করেছেন প্রাক্তন অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক। তালিকায় তিনি তাঁদেরই রেখেছেন, যাঁদের সঙ্গে বা বিরুদ্ধে তিনি খেলেছেন। সেই তালিকায় সচিন-কোহলির পাশাপাশি আছেন ব্রায়ান লারা, রিকি পন্টিং, জাক কালিস, এ বি ডিভিলিয়ার্স এবং শ্রীলঙ্কার কুমার সঙ্গকারা। তবে ক্লার্ক তাঁর তালিকায় রাখেননি স্টিভ স্মিথকে।

কিংবদন্তি সচিনের টেকনিক মুগ্ধ করেছে তাঁকে। ‘মাস্টার ব্লাস্টার’কে ফেরানো সব থেকে কঠিন বলে মনে হয়েছে ক্লার্কের। টেকনিক্যালি সচিনের কোনও দুর্বলতা ছিল বলে মনে করেন না প্রাক্তন অজি অধিনায়ক। বলেছেন, ‘সচিন কখন ভুল করবে সেই অপেক্ষাতেই থাকতে হত সবাইকে।’

ব্রায়ান লারা প্রসঙ্গে ক্লার্ক বলছেন, ‘লারার পরিসংখ্যান এবং গড় হয়তো খুব একটা বেশি নয়। কিন্তু স্পিনার বা ফাস্টবোলারকে ও যেভাবে খেলত, তা দেখে মুগ্ধ হতে হয়। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রাধান্য নিয়ে ব্যাট করেছে লারা।’

ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি প্রসঙ্গে ক্লার্কের ব্যাখ্যা, ‘ওয়ানডে ও টি টোয়েন্টিতে কোহলির রেকর্ড অসাধারণ। টেস্ট ক্রিকেটে প্রাধান্য নিয়ে খেলে। কোহলি আর সচিনের মধ্যে একটা ব্যাপারে দারুণ মিল। ওরা দু’জনেই সেঞ্চুরিকে আরও বড় সেঞ্চুরিতে পরিণত করতে দক্ষ।’

দক্ষিণ আফ্রিকার তারকা এ বি ডিভিলিয়ার্সকে ফের মাঠে দেখতে চান ক্লার্ক। বলছেন, ‘যে কোনও পোজিশনে ব্যাট করতে পারে এ বি। মাঠের যে কোনও প্রান্তে শট মারতে পারে।’ জাক কালিস সম্পর্কে ক্লার্কের উপলব্ধি, ‘সেরা অলরাউন্ডার। অস্ট্রেলিয়ার বোলিং শক্তির বিরুদ্ধে যে ভাবে রান করেছে কালিস, তা এক কথায় অসাধারণ।’

তাঁর দেশের প্রাক্তন অধিনায়ক রিকি পন্টিং প্রসঙ্গে ক্লার্ক বলেছেন, ‘ম্যাথু হেডেন, স্টিভ স্মিথ, ডেভিড ওয়ার্নার, অ্যাডাম গিলক্রিস্টের মতো দুর্দান্ত ব্যাটসম্যানদের সঙ্গে খেলেছি। কিন্তু রিকি যে সময়ে খেলেছে, তখন প্রতিটি দলেই দু-তিন জন দুর্দান্ত বোলার ছিল। রিকি ওদের বিরুদ্ধে প্রাধান্য নিয়েই খেলেছে।’ ক্লার্ক যোগ করেছেন, ‘‘আমার মতে ব্যাটিং অর্ডারের তিন নম্বর খুব কঠিন পোজিশন। ওই জায়গায় নেমে বিশ্বকাপে টানা তিনটি সেঞ্চুরি করেছিল কুমার সঙ্গকারা। বিশ্ব ক্রিকেটের নিপাট একজন ভাল মানুষ সঙ্গা।’