নয়াদিল্লি: শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) ৪১-এ পা দিলেন ভারতের প্রাক্তন তারকা ওপেনার গৌতম গম্ভীর (Gautam Gambhir's Birthday)। দুই বিশ্বকাপজয়ী ভারতীয় তারকাকে জন্মদিনে স্বাভাবিক শুভেচ্ছায় ভাসালেন প্রাক্তন সতীর্থ থেকে একাধিক ভারতীয় তারকারা। সচিন তেন্ডুলকর (Sachin Tendulkar), যুবরাজ সিংহ (Yuvraj Singh), কে নেই সেই তালিকায়।
যুবরাজের শুভেচ্ছা
ভারতের হয়ে ২০০৭ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও ২০১১ সালে ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ জেতেন গম্ভীর। উভয় বিশ্বকাপের ফাইনালেই টিম ইন্ডিয়ার হয়ে সর্বাধিক স্কোর করেছিলেন গম্ভীরই। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে ৫৪ বলে ৭৫ রানের ইনিংস খেলেন গম্ভীর। চার বছর পর মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে ময়দানে ৯৭ রানের ইনিংস খেলেন বাঁ-হাতি তারকার ব্যাটার। দুই বিশ্বকাপেই তাঁর সতীর্থ যুবরাজ সিংহ গম্ভীরকে সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভেচ্ছা জানিয়ে লেখেন, 'আমার প্রিয় ভাই গৌতম গম্ভীরকে জন্মদিনের অনেক শুভেচ্ছা। তুমি সব অর্থেই একজন প্রকৃত চ্যাম্পিয়ন। আশা করছি শীঘ্রই তোমার সঙ্গে দেখা হবে।'
সচিনের শুভেচ্ছা
সচিন তেন্ডুলকর লেখেন, 'জন্মদিনের অনেক শুভেচ্ছা গৌতম গম্ভীর। এই বছরটা ভাল করে কাটাও বন্ধু।' ভারতীয় বোর্ডের তরফে জাতীয় দলের হয়ে গৌতম গম্ভীরের পরিসংখ্যান মনে করিয়ে দিয়ে তাঁকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানো হয়। ভারতের হয়ে তিন ফর্ম্যাট মিলিয়ে মোট ১০,৩৪২ রান করেছেন গম্ভীর। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৬৩টি অর্ধশতরানের পাশাপাশি ২০টি শতরান করারও কৃতিত্ব রয়েছে গম্ভীরের দখলে। এছাড়াও কলকাতা নাইট রাইডার্সকে তিনি নেতৃত্ব দিয়ে দুই দুইবার আইপিএল চ্যাম্পিয়নও করিয়েছেন। তাই গম্ভীরের জন্মদিনে শুভেচ্ছার ঢল নামটা একেবারেই অস্বাভাবিক কিছু নয়।
রোহিতদের পরামর্শ
আর কিছুদিন পর থেকেই শুরু হতে চলেছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে হতে চলা এই টুর্নামেন্টে ভারতীয় দল তাঁদের প্রথম ম্যাচ খেলতে নামবে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। নিশ্চিতভাবেই রোহিত, বিরাট বনাম শাহিন আফ্রিদি ডুয়েল খুবই রোমাঞ্চকর হতে চলেছে আগামী ২৩ অক্টোবর। গত বছর বিশ্বকাপে আফ্রিদির ধাক্কায় প্রথমেই বেলাইনে চলে গিয়েছিল ভারতীয় ব্যাটিং লাইন আপ। রোহিত. রাহুল ২ জনকেই ইনিংসের শুরুতে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন তরুণ পাক পেসার। তবে প্রাক্তন ভারতীয় ওপেনার গৌতম গম্ভীর মনে করেন যে আফ্রিদির বিরুদ্ধে বেশি রক্ষণাত্মক হলেই বিপদ। তাই যতটা বেশি আক্রমণাত্মক মেজাজেই খেলা উচিত।
পাকিস্তান ম্যাচের মহারণ প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে ২০১১ বিশ্বকাপজয়ী ভারতীয় দলের সদস্য বলেন, ''যখন আফ্রিদির মতো বোলারকে খেলতে হবে, তখন রক্ষণাত্মক মেজাজে খেললে চাপ। আক্রমণাত্মক মেজাজেই ব্যাটিং করা উচিত। তাতেই উল্টোদিকের বোলারের মনোবল ভেঙে দেওয়া যায়। নইলে সব কিছুই বোলারের পক্ষে যেতে থাকে। মানসিকভাবেই চাপ তৈরি হয়।''
আরও পড়ুন: ঝোড়ো শতরানে মুম্বইকে জেতালেন পৃথ্বী, দেখা মিলল 'অচেনা' পূজারার