নয়া দিল্লি : কুস্তিগীর সাগর ধনকড় হত্যা মামলায় দিল্লি পুলিশের ১৭০ পাতার চার্জশিট জমা। তাতে মূল অভিযুক্ত করা হয়েছে অলিম্পিক্সে জোড়া পদকজয়ী সুশীল কুমারকে।  


ছত্রশাল স্টেডিয়ামে কুস্তিগীরের হত্যার মামলায় গ্রেফতার হন দেশের হয়ে অলিম্পিক গেমসে পদকজয়ী কুস্তিগীর সুশীল। সুশীল ও তাঁর সঙ্গী অজয় কুমারকে বৃহত্তর দিল্লির মুণ্ডকা এলাকা থেকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল। পুলিশের দাবি, গত ৪ মে ছত্রশাল স্টেডিয়ামে ২৩ বছরের সাগর ধনকড়কে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছিল।


পুলিশ সূত্রে খবর, উত্তর পশ্চিম দিল্লির মডেল টাউনে ছত্রশাল স্টেডিয়ামের গাড়ি রাখার জায়গায় সুশীল কুমার, অজয়, প্রিন্স, সোনু, সাগর, অমিত এবং আরও কয়েকজন বচসায় জড়িয়ে পড়েছিলেন। সাগর ও তাঁর বন্ধুরা মডেল টাউন অঞ্চলে স্টেডিয়ামের কাছেই একটি বাড়িতে থাকছিলেন। সেই বাড়ি খালি করার জন্য তাঁদের উপর চাপ দেওয়া হচ্ছিল। সম্ভবত সেটা নিয়েই বচসা হয়। 


ঘটনার দিন গভীর রাতে থানায় ফোন করে জানানো হয়, ছত্রশাল স্টেডিয়ামে দুই ব্যক্তির মধ্যে বচসায় জখম হয়েছেন একজন। আহত ওই যুবককে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় অন্য একটি হাসপাতালে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানেই মৃত্যু হয় ওই যুবকের। এছাড়া ওই ঘটনায় আহত হন সাগরের দুই বন্ধু। ঘটনায় নাম জড়ায় সুশীলের। 


এই মামলায় শুরু থেকেই নাম জড়ায় সুশীল কুমারের। তাঁর বিরুদ্ধে জারি হয়েছিল জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা। যারপর থেকেই ফেরার ছিলেন তিনি। যার পরে সুশীল ও তাঁর সহযোগীদের সম্পর্কে তথ্য দিতে পারলে পুরস্কার ঘোষণা করেছিল দিল্লি পুলিশ। পুলিশের দাবি, গত ৪ মে ছত্রসাল স্টেডিয়ামে সংঘর্ষের সময় ২৩ বছরের সাগরকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছিল। সংঘর্ষের সময় বেশ কয়েকজন কুস্তিগীর আহত হয়েছিলেন। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। হাসপাতালে জখম একজনের মৃত্যু হয়। এই মামলায় দিল্লি পুলিশে কয়েকজন ব্যক্তির বয়ান নথিভুক্ত করে। এতে সুশীল কুমারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়। পুলিশ যে ঘটনায় খুনের মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করে।