মুম্বই: ঘরোয়া ক্রিকেট হোক বা আইপিএলে (IPL)। ধারাবাহিক পারফরম্যান্স করেও জাতীয় দলে (National Team) সুযোগ পাচ্ছিলেন না। যা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় আওয়াজ তুলেছিলেন তাঁর সমর্থকরা। তিনি নাকি ধারাবাহিক সুযোগ পান না। এমন অভিযোগ তুলে বোর্ড ও টিম ম্যানেজমেন্টের দিকেও আঙুল তুলেছিলেন অনেকে। কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজ (India vs West Indies) সফরে ওয়ান ডে ও টি-টোয়েন্টিতে সুযোগ পেয়েও তা কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়েছেন সঞ্জু স্যামসন (Sanju Samson)। তিনটি টি-টোয়েন্টি ও ২টো ওয়ান ডে-তে সুযোগ পেয়েও কোনও কাজে লাগাতে পারেননি কেরালার উইকেট কিপার ব্যাটার।


২০১৫ সালে জাতীয় দলে সুযোগ। টি-টোয়েন্টি ফর্ম্যাটে অভিষেক হয়েছিল তাঁর। ২০২১ সালে ওয়ান ডে ফর্ম্যাটে প্রথমবার দেশের জার্সিতে খেলতে নামেন। কিন্তু গত ৮ বছরে মাত্র ৩৫টি ম্যাচ খেলেছেন আন্তর্জাতিক মঞ্চে। আইপিএলে রাজস্থান রয়্যালসকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন সফলভাবে। সেখানেও রানও করেছেন। কিন্তু জাতীয় দলের জার্সিতেই খারাবাহিকতার অভাব দেখা দিচ্ছে। ক্যারিবিয়ান সফরে তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে সঞ্জু করেছেন ১২, ৭ এবং ১৩ রান। দুটি ওয়ান ডে ম্যাচে করেছেন ৯ ও ৫১ রান। অর্থাৎ পাঁচ ম্যাচ খেলে একটি অর্ধশতরান ছাড়া কিছুই নেই ঝুলিতে।


এবার প্রশ্ন উঠছে যে তাহলে কি আদৌ এশিয়া কাপ বা বিশ্বকাপের স্কোয়াডে ভাবা হবে স্যামসনকে? ওয়ান ডে ফর্ম্যাটে স্যামসনের গড় ৫৫.৭১। এখনও পর্যন্ত ১২ ম্যাচে ৩৯১ রান করেছেন তিনি। তিনটি অর্ধশতরান রয়েছে ঝুলিতে। আয়ারল্যান্ড সফরেও দলে রয়েছেন ২৮ বছরের এই ক্রিকেটার। কিন্তু তাঁর প্রতিযোগিতা মূলত কে এল রাহুল ও ঈশান কিষাণের সঙ্গে। কারণ চার বা পাঁচ নম্বর পজিশনে উইকেট কিপার ব্যাটার হিসেবে যদি খেলাতে হয়, তাহলে অভিজ্ঞতার বিচারে এগিয়ে থাকবেন কে এল রাহুল। তিনি ফিট হয়ে গেলে হয়ত স্যামসনের সুযোগের সম্ভাবনা কমেই যেতে পারে।


এদিকে, আজ প্রথম টি-টোয়েন্টিতে আয়ারল্য়ান্ডের বিরুদ্ধে নামছে ভারতীয় দল। এটিই ভারতীয় দলের সঙ্গে রিঙ্কু সিংহ, জীতেশ শর্মাদের প্রথম সফর। নিজেদের প্রথম সফরে স্বাভাবিকভাবেই দুই তরুণ তুর্কিই উচ্ছ্বাসে ভাসছেন। সেই উচ্ছ্বাস বিসিসিআইয়ের শেয়ার করা একটি ভিডিওতে সকলের সঙ্গে ভাগ করে নেন রিঙ্কু সিংহ, জীতেশ শর্মা।


বিসিসিআইয়ের পোস্ট করা ভিডিওতে অনুশীলন সেশনের পর রিঙ্কু বলেন, 'ভারতীয় ক্রিকেট দলের হয়ে প্রথম অনুশীলন সেশনটা বেশ ভালই গেল। আমি যদি সুযোগ পাই তাহলে নিজের সেরাটা দেব এবং দলকে ম্যাচ জিততে সাহায্য করব।' প্রথমবার জাতীয় দলের হয়ে ডাক পাওয়াটা সকলের কাছেই দারুণ উচ্ছ্বাস ও আবেগের। রিঙ্কু জানান, 'আমি সেই সময় নয়ডায় যেখানে আমি অনুশীলন করি, সেখানে ছিলাম। যখন দল ঘোষণা করা হয়, তখন বন্ধুদের সঙ্গে ছিলাম আমি। তারপর আমি আমার মাকে ফোন করি। মা সবসময় বলত আমাকে দেশের হয়ে খেলতে হবে। তাই আমার পাশাপাশি ওদেরও স্বপ্ন পূর্ণ হয়। ভারতের হয়ে খেলাটা সকলরেই স্বপ্ন। প্রথমবার ভারতীয় দলের জার্সি হাতে পাওয়ার পর আমি খানিকটা আবেগঘনই হয়ে গিয়েছিলাম।'