মলপ্পুরম: কেরলের (Kerala) পর দ্বিতীয় দল হিসেবে চলতি সন্তোষ ট্রফির (Santosh Trophy) সেমিফাইনালে পৌঁছে গেল মণিপুর (Manipur)। আজ কর্ণাটককে (Karnataka) ৩-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে সহজেই শেষ চারে জায়গা করে নিল মণিপুর (Manipur)। প্রথমার্ধেই তিনটি গোল হয়ে যায়। দ্বিতীয়ার্ধে আর কোনও গোল হয়নি।
প্রথমার্ধেই ৩ গোল মণিপুরের
এদিন জোড়া গোল করে মণিপুরকে এগিয়ে দেন লুনমিনলেন হাওকিপ। তিনি প্রথম গোল করেন ১৯ মিনিটে। ৪২ মিনিটে ব্যবধান বাড়ান এই স্ট্রাইকার। এরপর ৪৪ মিনিটে ম্যাচের শেষ গোল করেন সোমিশন শিরাক।
চার ম্যাচে ৯ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ বি থেকে সেমিফাইনালে পৌঁছে গেল মণিপুর। অন্যদিকে, তিন ম্যাচে চার পয়েন্ট কর্ণাটকের। সোমবার গ্রুপের শেষ ম্যাচে গুজরাতের মুখোমুখি হচ্ছে কর্ণাটক। শেষ চারে যেতে হলে কর্ণাটককে শুধু এই ম্যাচ জিতলেই হবে না, অন্য ম্যাচের ফলাফলের দিকেও তাকিয়ে থাকতে হবে।
ভারতীয় ফুটবলের সাপ্লাই লাইন মণিপুর
এক দশকেরও বেশি সময় ধরে ভারতীয় ফুটবলের অন্যতম বড় শক্তি মণিপুর। উত্তর-পূর্ব ভারতের এই রাজ্য থেকে বহু ফুটবলার উঠে এসেছেন এবং আসছেন। ভারতীয় ফুটবলের অন্যতম সাপ্লাই লাইন মণিপুর। অন্যদিকে, একসময় কর্ণাটক থেকে অনেক ফুটবলার উঠে এলেও, এখন আর দক্ষিণ ভারতের এই রাজ্য থেকে তেমন একটা নামী ফুটবলারকে দেখা যাচ্ছে না। ফলে ধারে-ভারে কর্ণাটকের চেয়ে অনেকটা এগিয়ে থেকেই খেলতে নেমেছিল মণিপুর। সেই দলের বিরুদ্ধে রক্ষণে একের পর এক ভুলের খেসারত দিতে হল কর্ণাটককে। প্রথমার্ধেই তিন গোলে পিছিয়ে পড়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে কিছুটা লড়াই করেন কর্ণাটকের ফুটবলাররা। কিন্তু তাতে কোনও লাভ হয়নি। মণিপুরের রক্ষণের ফুটবলাররা বিপক্ষকে কোনওরকম সুযোগ দেননি।
কাল বাংলার সামনে রাজস্থান
অন্যদিকে, কাল গ্রুপ এ-তে নিজেদের শেষ ম্যাচে রাজস্থানের মুখোমুখি হচ্ছে বাংলা। চার ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে এই গ্রুপের শীর্ষে আছে কেরল। তারা ইতিমধ্যেই শেষ চারে জায়গা করে নিয়েছে। ৩ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে বাংলা। তৃতীয় স্থানে থাকা মেঘালয়ের ৩ ম্যাচে পয়েন্ট ৪। ফলে কাল রাজস্থানকে হারালেই সেমিফাইনালে জায়গা করে নেবে বাংলা। ড্র করলেও বাংলার সামনে সেমিফাইনালে যাওয়ার সুযোগ থাকবে। সেক্ষেত্রে মেঘালয়ের ম্যাচের ফলের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে।