রিয়াদ: সৌদি আরবের রিয়াদের কিংগ ফাহাদ স্টেডিয়ামে আয়োজিত হচ্ছে সন্তোষ ট্রফির সেমিফাইনাল ও ফাইনালের ম্যাচগুলি। ফাইনালে খেতাবি লড়াইয়ে কোন দুই দল একে অপরের মুখোমুখি হবে, তা নির্ধারিতও হয়ে গেল। খেতাবি লড়াইয়ে প্রথমবার ফাইনালে উঠা মেঘালয় নামবে ৪৭ বছর পর ফাইনালের টিকিট পাকা করা কর্ণাটকের বিরুদ্ধে।
প্রথম সেমিফাইনাল
মেঘালয়ের বিরুদ্ধে আট বারের চ্যাম্পিয়ন পঞ্জাবকে অন্তত খাতায় কলমে অনেকেই ফেভারিট বলে মনে করছিলেন। তবে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই শেষে ২-১ ম্যাচ জিতে নিয়ে প্রথমবার সন্তোষ ট্রফির ফাইনালে পৌঁছে ইতিহাস গড়লেন মেঘালয়ের ফুটবলাররা। ম্যাচে দুই সম্পূর্ণ ভিন্ন ঘরানার ফুটবল খেলে দুই দল। মেঘালয় তাঁদের পাসিং ফুটবলে ভর করেই গোলের খোঁজ করছিলেন। অপরদিকে, পঞ্জাবের ফুটবলাররা প্রতিআক্রমণাত্মক ফুটবল এবং লম্বা চেহারার জন্য লং বল ফুটবলই খেলার পরিকল্পনা করেছিলেন।
ম্যাচের ১৬ মিনিটেই পঞ্জাবই কিন্তু ম্যাচে এগিয়ে যায়। কর্নার থেকে মেঘালয় গোলরক্ষক রজত পাল বল গোলের থেকে নিরাপদ দূরত্বে পাঠাতে পারেননি। পরমজিৎ সিংহ ডান পায়ের জোরাল শটে পঞ্জাবকে এগিয়ে দেন। ৩৭ মিনিটে অবশেষে ম্যাচে সমতা ফেরায় মেঘালয়। ফিগো সিন্ডাই বাঁ-পায়ের দুরন্ত ভলিতে গোল করে ম্যাচে সমতা ফেরান। শেষমেশ ইনজুরি টাইমে শেন শখটুং ম্যাচের জয়সূচক গোলটি করেন।
দ্বিতীয় সেমিফাইনাল
খেতাবের প্রবল দাবিদার সার্ভিসেসের বিরুদ্ধে সেমিফাইনালে ৩-১ ম্যাচ জিতল কর্ণাটক। রবিন যাদব, অঙ্কিত এবং সুনীল কুমার তিনটি গোল করেন। চোট আঘাত ও একাধিকবার ম্যাচে বাঁধার সৃষ্টি হওয়ায় খেলা ১০০ মিনিটেরও অধিক সময় গড়ায়। ম্যাচের প্রথমার্ধের একেবারে শেষ ছয় মিনিটেই খেলার ভাগ্য কার্যত নির্ধারিত করে দেয়। তিনটি গোল এবং একটি অভূতপূর্ব গোল মিসের সবকয়টিই আসে এই ছয় মিনিটের ব্যবধানে।
৩৯ মিনিটে সার্ভিসেসের বিকাশ থাপা গোল মিস করেন। তবে মিনিট খানেক পরে তিনিই ব্যাক হিলে এক অনবদ্য গোল করে সার্ভিসেসকে এগিয়ে দেন। তবে ঠিক তার পর পরই রবিন যাদব ২৫ গজ দূর থেকে এক চোখধাঁধানো ফ্রি-কিকে গোল করে কর্ণাটককে সমতায় ফেরান। অঙ্কিত প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার আগেই কর্ণাটককে লিড এনে দেন। দ্বিতীয়ার্ধে সার্ভিসেস ম্যাচে ফিরে আসার তোড়জোড় শুরু করতেই কর্ণাটককে ৭৭ মিনিটে আরও একটি গোল করে এগিয়ে দেন সুনীল। ৪ মার্চ সার্ভিসেস পঞ্জাবের বিরুদ্ধে তৃতীয় স্থান দখলের জন্য লড়াই করবেন। ওই একইদিনে কর্ণাটক ও মেঘালয় রাতের দিকে খেতাবি লড়াইয়ে মুখোমুখি হবেন।
আরও পড়ুন: ইনদওরে বল হাতে আগুন ঝরিয়ে নতুন কীর্তি গড়লেন উমেশ