দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে চলতি একদিনের সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ফেহলুকায়োকে ওই অভব্য মন্তব্য করেন সরফরাজ। দক্ষিণ আফ্রিকা তখন রান তাড়া করছিল। ৩৭ তম ওভারে শাহিন আফ্রিদির একটি বল ফেহলুকায়োর ব্যাটের ভেতরের দিকে কানায় গেলে স্ট্যাম্প ঘেঁষে চলে যায়। রক্ষা পান ফেহলুকায়ো। ওই সময় ৫০ রানে ব্যাট করছিলেন তিনি। আউট না হওয়ায় হতাশ সরফরাজকে বর্ণবিদ্বেষী মন্তব্য করতে শোনা যায়। তাঁর টিপ্পনি ধরা পড়ে স্ট্যাম্প মাইকে।
ওই ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ার পর সর্বস্তরে সরফরাজের মন্তব্যের সমালোচনা হয়। শেষপর্যন্ত ট্যুইটার মারফত্ ক্ষমা চেয়েছেন সরফরাজ। তিনি বলেছেন, আমার চূড়ান্ত হতাশার বহিঃপ্রকাশ, যা দুর্ভাগ্যবশত স্ট্যাম্প মাইকে ধরা পড়েছে, তা যদি কাউকে আহত করে সেজন্য আন্তরিকভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। আমার এই মন্তব্যের লক্ষ্য নির্দিষ্ট কোনও ব্যক্তি ছিলেন না। কাউকে আঘাত করার ইচ্ছাও ছিল না।
সরফরাজ আরও বলেছেন, অতীতে মতো ভবিষ্যতেও সারা বিশ্বের সহ ক্রিকেটারদের প্রতি মাঠে ও মাঠের বাইরে তাঁর শ্রদ্ধা ও সম্মান অব্যাহত থাকবে।
সরফরাজের মন্তব্য নিয়ে খেদ প্রকাশ করেছে পাক ক্রিকেট বোর্ডও। পিসিবি-র পক্ষ থেকে একটি বিবৃতিতে বলা হয়, পিসিবি এ ধরনের মন্তব্য অনুমোদন বা সমর্থন করে না। বর্ণবিদ্বেষমূলক মন্তব্য কোনভাবেই বরদাস্ত না করার নীতিতে পিসিবি অনড় রয়েছে বলে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
দক্ষিণ আফ্রিকা দলের ম্যানেজার মহম্মদ মুসাজি জানিয়েছেন, ঘটনাটি ম্যাচ আধিকারিকদের গোচরে এসেছে। তিনি বলেছেন,আইসিসি ও ম্যাচ আধিকারিকদের গোচরে এসেছে বিষয়টি। এর তদন্তের জন্য প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া তারা শুরু করেছে। তদন্তের ফলাফল জানার পরই এ বিষয়ে তাঁরা প্রতিক্রিয়া দেবেন বলে জানিয়েছেন মুসাজি।