ভাস্কো ডা গামা: আশা জাগিয়েও ফের হার এস সি ইস্টবেঙ্গলের। আজই আইএসএল-এ প্রথম গোল পায় ইস্টবেঙ্গল। প্রথমার্ধে এগিয়েও গিয়েছিল রবি ফাওলারের দল। এমনকী, পেনাল্টিও বাঁচিয়ে দেন ইস্টবেঙ্গলের গোলকিপার দেবজিৎ মজুমদার। কিন্তু তারপরেও রক্ষণের ভুলে হায়দরাবাদ এফসি-র কাছে হেরে গেল ইস্টবেঙ্গল। খেলার ফল ৩-২। এই হারের ফলে পাঁচ ম্যাচের পরে মাত্র এক পয়েন্ট নিয়ে সবার নীচে ইস্টবেঙ্গল।


আজ খেলার শুরুটা ভালই করেন অ্যান্টনি পিলকিংটন, জ্যাকুয়েস ম্যাঘোমারা। ২৬ মিনিটে এক অসাধারণ মুভমেন্ট থেকে আইএসএল-এ ইস্টবেঙ্গলের হয়ে প্রথম গোল করে ইতিহাসে নিজের নাম খোদাই করে ফেলেন ম্যাঘোমা। এই গোলের পিছনে ইস্টবেঙ্গলের তিন বিদেশি পিলকিংটন, ভিলে ম্যাটি স্টেইনম্যান ও ম্যাঘোমার অবদান ছিল। প্রথমে লেফট উইং থেকে বক্সে স্টেইনম্যানের উদ্দেশে মাটি ঘেঁষা ক্রস বাড়ান পিলকিংটন। সেই বল ধরে মাইনাস করেন স্টেইনম্যান। বাঁ পায়ের আলতো টোকায় সুব্রত পালকে হার মানান ম্যাঘোমা।

পিছিয়ে পড়েও অবশ্য হায়দরাবাদ খেলা থেকে হারিয়ে যায়নি। আরিদেন সান্তানা, হোলিচরণ নার্জারিরা বারবার লাল-হলুদ রক্ষণে হানা দিতে থাকেন। প্রথমার্ধের শেষদিকে পেনাল্টি পায় হায়দরাবাদ। তবে সান্তানার শট ডানদিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে বাঁচিয়ে দেন দেবজিৎ। প্রথমার্ধে আর কোনও গোল হয়নি।

দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু হওয়ার পর গোলের লক্ষ্যে আক্রমণে ঝাঁঝ বাড়ায় হায়দরাবাদ। ৫৬ মিনিটে পরপর দু’টি গোল করেন সান্তানা। দু’টি গোলই হয় ইস্টবেঙ্গলের রক্ষণের ভুলে। এরপর ৬৮ মিনিটে ব্যবধান বাড়ান হোলিচরণ। ৮১ মিনিটে নিজের ও দলের দ্বিতীয় গোল করে ব্যবধান কমান ম্যাঘোমা। তবে ইস্টবেঙ্গলের পক্ষে খেলায় সমতা ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়নি। ফলে পাঁচ ম্যাচের পরেও জয় অধরাই থেকে গেল।

আজই প্রথম ইস্টবেঙ্গলের হয়ে খেলতে নামেন অ্যারন-আমাদি হলওয়ে। ৬৭ মিনিটে সি কে বিনীথের বদলে তাঁকে নামান ফাওলার। প্রথমদিন বিশেষ কিছু করতে পারেননি হলওয়ে। তবে খুব একটা খারাপও খেলেননি তিনি।

হলওয়ে না হয় আজই প্রথমবার ভারতের মাটিতে খেলতে নামলেন, কিন্তু ইস্টবেঙ্গলের বাকি ফুটবলাররা কী করলেন? চলতি আইএসএল-এ পাঁচটি ম্যাচ হয়ে যাওয়ার পরেও লাল-হলুদ রক্ষণে জমাট ভাব দেখা যাচ্ছে না। মাঝমাঠেরও দখল নিতে পারছে না ইস্টবেঙ্গল। বিদেশি স্ট্রাইকার শুরু থেকেই নেই। ফলে বিপক্ষের রক্ষণভাগে চাপ পড়ছে না। প্রতি ম্যাচেই এই সমস্যা দেখা যাচ্ছে। আজ যে তিনটি গোল খেল ইস্টবেঙ্গলের, প্রতিটি ক্ষেত্রেই রক্ষণের ভুল চোখে পড়েছে। ম্যাঘোমা জোড়া গোল করলেও, তাঁর ভুলেই দ্বিতীয় গোলটি হজম করতে হয় দলকে। জেজে বা বলবন্ত স্ট্রাইকার হিসেবে খেললেও, তাঁরা দলকে ভরসা দিতে পারছেন না।