এর আগে তিনটি ম্যাচেই হারতে হয় ইস্টবেঙ্গলকে। ফলে আজকের ম্যাচে বাড়তি চাপ ছিল অ্যান্টনি পিলকিংটন, স্কট নেভিলদের উপর। তার উপর জামশেদপুর আগের ম্যাচেই এটিকে মোহনবাগানকে হারিয়ে দিয়েছিল। ফলে এই ম্যাচ নিয়ে আশঙ্কায় ছিলেন লাল-হলুদ সমর্থকরা। দল শেষপর্যন্ত এক পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়ায় তাঁরা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন। জামশেদপুরের একাধিক শট-হেড বারে লাগে। তবে ইস্টবেঙ্গলের ভাগ্য ভাল থাকায় গোল হয়নি।
আজ দলে একাধিক বদল আনেন ইস্টবেঙ্গলের কোচ রবি ফাওলার। দেবজিৎ মজুমদারের বদলে আজ লাল-হলুদের গোলকিপার হিসেবে দেখা যায় শঙ্কর রায়কে। তিনি বেশ ভাল খেলেন। ৬১ মিনিটে অবশ্য চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন শঙ্কর। তাঁর বদলে নামেন দেবজিৎ।
আজ লাল-হলুদ রক্ষণকে ভরসা দেন মহম্মদ ইরশাদ। এই ডিফেন্ডারই আজ ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি প্রথম থেকে শেষপর্যন্ত লড়াই করেন। নেভিল, শেহনাজ সিংহ, স্টেইনম্যান, নারায়ণ দাস, মহম্মদ রফিকরাও আপ্রাণ লড়াই করেন। দল ১০ জনে হয়ে যাওয়ার পরেও গোল করার চেষ্টা চালাচ্ছিলেন পিলকিংটন, জ্যাকুয়েস ম্যাঘোমারা। কিন্তু এদিনও স্ট্রাইকারের অভাব প্রকট হয়ে গিয়েছে। একমাত্র স্ট্রাইকার হিসেবে আজ দলে ছিলেন জেজে। বলবন্ত সিংহকে নামাননি ফাওলার। ফলে উপরে জেজে একা হয়ে পড়ছিলেন। ম্যাচ জিততে হলে স্ট্রাইকার সমস্যা মেটাতেই হবে ইস্টবেঙ্গলকে। না হলে ভাল খেলেও তিন পয়েন্ট আসবে না।
এবারের আইএস-এ রেফারিংয়ের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। নর্থ-ইস্ট ইউনাইটেড এফসি-র বিরুদ্ধে ইস্টবেঙ্গলের জোড়া পেনাল্টির আবেদন খারিজ হয়ে যায়। আজও রেফারির বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ উগরে দেন লাল-হলুদ সমর্থকরা। লিংডোর লাল কার্ড কোনওভাবেই মেনে নিতে পারছেন না তাঁরা। লালনানফেলাকে যেভাবে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখানো হল, সেই সিদ্ধান্ত নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। খেলার মান বাড়াতে গেলে রেফারিং ভাল হওয়া জরুরি। আইএসএল-এর আয়োজকদের এ বিষয়ে ভাবা উচিত।