এটিকে মোহনবাগান, মুম্বই সিটি এফসি-র পর এবার নর্থ-ইস্ট ইউনাইটেড। আইএসএলের অভিযান শুরুতেই হারের হ্যাটট্রিক লাল-হলুদ ব্রিগেডের। প্রথমার্ধে সুরচন্দ্র সিংয়ের আত্মঘাতী গোল ও দ্বিতীয়ার্ধের একেবারে শেষলগ্নে রোজারজেলার গোলে হারল রবি ফাওলারের দল।
গোটা ম্যাচে খুব যে খারাপ ফুটবল খেলেছে এসসি ইস্টবেঙ্গল, এমনটা মোটেই নয়। তবে গোলমুখে গিয়ে বারবার খেই হারিয়েছেন অ্যান্টনি পিলকিংটন, জাঁ মাঘোমারা। আর গোটা ম্যাচের গতিপথই বদলে গেল রেফারি সন্তোষ কুমারের একটি সিদ্ধান্তে। আর যা নিয়ে ম্যাচের পর রেফারিকে তুলোধোনা করলেন লিভারপুলের প্রাক্তন কিংবদন্তি।
বল নিয়ে বক্সে ঢুকে পড়া মাঘোমাকে আটকাতে গিয়ে ফাউল করেন আশুতোষ মেহতা, বডি কনট্যাক্টের বিষয়টা বুঝে হাত তুলেও দেন তিনি। রেফারি যা পেনাল্টি দেননি, যে সিদ্ধান্ত নিয়ে বেশ ক্ষোভ প্রকাশ করে লাল-হলুদ বেঞ্চ। ২০ মিনিটের মাথায় যে ঘটনা।
যা নিয়ে ম্যাচ শেষে ফাওলারের তোপ, ‘মানছি সবাই মানুষ, কিন্তু এরকম পেনাল্টি না পাওয়া গেলে কিছু করার থাকে না। আইএসএল লিগের মান নিয়ে কথা হয়, কিন্তু এটা পেশাদার রেফারিং! আমার আর কিছু বলার নেই, শুধু বলব সিদ্ধান্তটা ম্যাচের গতিপথই পাল্টে দিল।’
গোলের খাতা না খোলার পর যখন ফের নতুন করে চেষ্টা শুরু করেছে তারা তখনই ছন্দপতন। ৩৩ মিনিটে বক্সে আসা গড়ানো বল ক্লিয়ার করতে পারেননি সুরচন্দ্র সিংহ। তাঁর পায়ে লেগে বল দিক পরিবর্তন করে জালে ঢুকে যায়।
দ্বিতীয়ার্ধে ফের চেষ্টার কসুর না করলেও রক্ষণ জমাট রেখে নর্থইস্ট লড়াই জারি রাখে। মাঝে পিলকিংটনের চেষ্টা, হ্যান্ডবল থেকে পেনাল্টি আবেদন হোক বা অন্য প্রয়াস প্রত্যেকবারই সাইডলাইনে মাথায় হাত তুলে হাহুতাশ করতে দেখা যায় ইস্টবেঙ্গলের কোচকে। নর্থইস্টের ডিফেন্ডার বেঞ্জামিন ল্যাম্বোট হন ম্যাচের সেরা।
আর খেলা শেষের কিছুটা আগে নতুন রূপের ইস্টবেঙ্গলের বিড়ম্বনা বাড়ান আগের ইস্টবেঙ্গলের সদস্য ভিপি সুহের। লম্বা বাড়ানো পাস ধরে ডান প্রান্ত থেকে রাখা তাঁর মাপা ক্রস হালকা টোকায় গোল করে ম্যাচ উত্তর-পূর্বের দলটির পক্ষে করে দেন রোজারজেলা। গতবার আই লিগে আইজলের হয়ে নজর কেড়েছিলেন যিনি।
ম্যাচ শেষের দিকে লাল-হলুদের কিছু ফুটবলার মাথা গরম করে জড়ান কথা কাটাকাটিতে, কয়েকজনকে দেখা যায় মাটিতে মুখ লুকিয়েছেন মাথায় হাত দিয়ে। আইএসএলের প্রথম তিন ম্যাচেই হেরে পয়েন্টের খাতা না খুলে লিগ তালিকায় একেবারে শেষে থাকা ইস্টবেঙ্গল নিয়ে এবার সমর্থকদের ধৈর্যচ্যুতির অল্প ইঙ্গিত ধরা পড়ছে সোশ্যাল মিডিয়াগুলিতে।