নয়াদিল্লি: লোঢা কমিটির সুপারিশ কার্যকর না করা নিয়ে মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টে ভর্ত্‍সনার মুখে পড়লেন বিসিসিআই সভাপতি অনুরাগ ঠাকুর। বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি টিএস ঠাকুর, বিচারপতি এ এম খানউইলকর ও ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ বলে, ‘বোর্ডে ক্যাগ-সদস্য নিয়োগ করলে তা হবে বোর্ডে সরকারি হস্তক্ষেপের সামিল৷ ফলে, আইসিসি-র অনুমোদন হারাতে পারে বিসিসিআই।’ এই মর্মে বোর্ডকে চিঠি দেওয়ার জন্য আইসিসি-র সিইও ডেভ রিচার্ডসনের উপর চাপ তৈরি করেছিলেন অনুরাগ৷ আইসিসি চেয়ারম্যান শশাঙ্ক মনোহরও সেকথা স্বীকার করেছেন৷ অথচ, আদালতে একথা অস্বীকার করে শপথভঙ্গ করেছেন বোর্ড সভাপতি৷ এর জন্য তাঁর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের হতে পারে। দোষী সাব্যস্ত হলে তাঁর কারাবাসের সম্ভাবনাও রয়েছে।


এ বছরের অক্টোবরেই অনুরাগকে আইসিসি সিইও-র সঙ্গে লোঢা কমিটির সুপারিশ নিয়ে আলোচনার বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে বলেছিল সুপ্রিম কোর্ট৷ তাঁর হলফনামায় আইসিসি-র সঙ্গে এমন কোনও আলোচনার কথা অস্বীকার করেন অনুরাগ৷ অথচ, অগাস্টে দুবাইয়ে আইসিসি-র ফাইনান্সিয়াল রিভিউ মিটিংয়েই এই নিয়ে আলোচনা হয়৷ যেখানে হাজির ছিলেন অনুরাগ স্বয়ং৷ সেটা নিয়ে এদিন সর্বোচ্চ আদালতে প্রশ্ন তোলেন অ্যামিকাস কিউরি গোপাল সুব্রহ্মণ্যম৷। তাঁর মতে, আইসিসি-র সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলার অর্থ বাইরের হস্তক্ষেপ চাওয়া৷ আদালতে মিথ্যে শপথ নিয়েছিলেন অনুরাগ৷

এরপরেই সুপ্রিম কোর্ট বোর্ড সভাপতিকে তোপ দেগে বলে, ‘কোর্টকে কেন ভুল বোঝানোর চেষ্টা করছেন? শপথভঙ্গের অভিযোগ থেকে নিষ্কৃতি পেতে গেলে ক্ষমা চাইতে হবে আপনাকে৷ বোর্ডের সংস্কারের পথে আপনি বারবার বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছেন৷ ৭০ বছরের বেশি বয়স হয়ে গেলেও বোর্ডের পদ কেউ ছাড়তে চায় না৷ কারণ, এই পদে লাভ অনেক।’

অনুরাগের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ নিয়ে ৩ জানুয়ারি রায় ঘোষণার সম্ভাবনা৷ অনুরাগের গদি অটুট থাকে কি না, তা নিয়ে এখন জোর জল্পনা ক্রিকেট মহলে৷