নয়াদিল্লি: ভারতের একদিনের দলের অধিনায়কের পদ থেকে বিরাট কোহলিকে ‘সরিয়ে দেওয়া’ নিয়ে ক্রিকেটপ্রেমীদের একাংশের আক্রমণের মুখে বিসিসিআই। ক্রিকেটপ্রেমীদের একাংশ রোহিত শর্মাকে টি-২০ দলের অধিনায়কত্বের পাশাপাশি একদিনের দলেরও অধিনায়ক ঘোষণা করার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। তবে অনেকেই এই সিদ্ধান্ত মানতে পারছেন না। বিশেষ করে যে পদ্ধতিতে বিরাটকে একদিনের দলের অধিনায়ক আর না রাখার কথা ঘোষণা করা হয়েছে, তাতেই ক্রিকেটপ্রেমীদের একাংশ ক্ষুব্ধ। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই কারণেই অনেকে বিসিসিআই এবং বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে আক্রমণ করছেন।


টি-২০ বিশ্বকাপের আগে বিরাট নিজেই জানিয়েছিলেন, এই প্রতিযোগিতার পর তিনি আর ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম ফর্ম্যাটে জাতীয় দলের অধিনায়কত্ব করবেন না। কিন্তু একদিনের দল থেকে তাঁকে বিসিসিআই কর্তারা সরিয়ে দিলেন না তিনি নিজেই সরে গেলেন, সেটা স্পষ্ট নয়। গতকাল বিসিসিআই-এর পক্ষ থেকে ট্যুইট করে দক্ষিণ আফ্রিকার সফরের দল ঘোষণার পাশাপাশি জানানো হয়, ‘সর্বভারতীয় সিনিয়র দল নির্বাচন কমিটি রোহিত শর্মাকে একদিনের ও টি-২০ দলের অধিনায়ক হিসেবে নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’


ক্রিকেটপ্রেমীদের একাংশের দাবি, বিরাটকে এভাবে একদিনের দলের অধিনায়কের পদ থেকে সরিয়ে দিয়ে তাঁকে অসম্মান করেছে বিসিসিআই। ভারতীয় ক্রিকেটে বিরাটের অবদানের স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। কী কারণে বিরাটকে একদিনের দলের অধিনায়কের পদ থেকে সরে যেতে হল, সেটা এখনও সরকারিভাবে জানা যায়নি। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় জল্পনা অব্যাহত। ক্রিকেটপ্রেমীদের একাংশের নিশানায় সৌরভ। অনেকেরই দাবি, বিসিসিআই সভাপতিই বিরাটকে সরিয়ে দিয়েছেন।


বিরাট এখনও ভারতের টেস্ট দলের অধিনায়ক আছেন। তিনি এখন শুধু এই ফর্ম্যাটেই ভারতীয় দলের অধিনায়ক। অনেকের মতে, একদিনের ও টি-২০ দলের অধিনায়ক দু’জন আলাদা ব্যক্তি থাকলে সমস্যা হত। সেই কারণেই বিরাটের বদলে একদিনের দলেরও অধিনায়ক করা হল রোহিতকে।


অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার পর স্বল্প সময়ের মধ্যেই সাফল্য পেয়েছেন রোহিত। তিনি প্রমাণ করে দিয়েছেন, অধিনায়কত্বের চাপ ব্যাটিংয়ে প্রভাব ফেলে না। তিনি ভবিষ্যতে আরও অনেক সাফল্য পাবেন বলেই আশা ভারতীয় ক্রিকেটের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের।