লন্ডন: লন্ডনের একটি নাইটক্লাবে পর্ন ছবির এক অভিনেত্রীকে মারধর করার অভিযোগ থেকে রেহাই পেলেন অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তী স্পিনার শেন ওয়ার্ন। পুলিশ তাঁকে জেরা করলেও, মামলা দায়ের করেনি। আটক বা গ্রেফতারও করা হয়নি ওয়ার্নকে। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ খারিজ হয়ে গিয়েছে।

ওয়ার্ন এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘সংবাদমাধ্যমে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগের খবর দেখে হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম। পুলিশের সঙ্গে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করেছি। পুলিশকর্মীরা আমাকে জানিয়েছেন, সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। এখানেই বিষয়টি মিটে গিয়েছে।’


ভ্যালেরি ফক্স নামে ওই অভিনেত্রীর অভিযোগ, শুক্রবার রাতে নাইটক্লাবে তাঁকে মারধর করেন ওয়ার্ন। শনিবার সকালে ট্যুইটারে একটি ছবি পোস্ট করেন ভ্যালেরি। সেই ছবিতে দেখা যাচ্ছে, তাঁর বাঁ চোখে আঘাত লেগেছে। এই ছবি দিয়ে ওয়ার্নকে উদ্দেশ্য করে ভ্যালেরি লেখেন, ‘নিজের উপর গর্ব হচ্ছে? একজন মহিলা মারলে? ইতর জীব।’ তবে ভ্যালেরির এই অভিযোগে সত্যতা নেই বলেই জানিয়ে দিল পুলিশ।

ওয়ার্ন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এক হাজারের বেশি উইকেট নিলেও, মাঠের বাইরে বহু বিতর্কে জড়িয়েছেন। ২০০০ সালে এক ব্রিটিশ নার্সকে অশ্লীল মেসেজ পাঠিয়ে বিতর্কে জড়িয়ে অস্ট্রেলিয়ার সহ-অধিনায়কত্ব হারান তিনি। ২০০৫ সালে প্রতারণার অভিযোগ এনে সম্পর্ক ছেদ করেন ওয়ার্নের স্ত্রী সিমোন ক্যালাহান। ২০০৭ সালে তাঁরা ফের একসঙ্গে থাকতে শুরু করেন। কিন্তু অন্য এক মহিলাকে মেসেজ পাঠাতে গিয়ে ভুল করে স্ত্রীকে পাঠিয়ে বসেন ওয়ার্ন। ফলে ফের তাঁদের বিচ্ছেদ হয়। এরপর ব্রিটিশ অভিনেত্রী লিজ হার্লের সঙ্গে ওয়ার্নের সম্পর্ক তৈরি হয়। তবে সেই সম্পর্কও তিন বছরের বেশি টেকেনি। গত বছর লন্ডনে এক তরুণীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখা যায় ওয়ার্নকে। এবার নয়া বিতর্কে জড়ালেন এই প্রাক্তন ক্রিকেটার।