মেলবোর্ন: তিনি ক্রিকেট বিশ্বের কিংবদন্তি। তাঁর আচমকা প্রয়াণে বিশ্বজুড়ে শোকের ছায়া। তবে মৃত্যুর পরেও শেন ওয়ার্নের (Shane Warne) জনপ্রিয়তায় ভাঁটা পড়েনি।


তাইল্যান্ডে ছুটি কাটানোর সময় হঠাৎ করেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মাত্র ৫২ বছর বয়সে অকাল মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন ওয়ার্ন। কিংবদন্তি লেগস্পিনারকে 'আইকনিক' ক্রিকেট গ্রাউন্ড মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ড অর্থাৎ এমসিজিতে শেষ শ্রদ্ধার্ঘ্য জানানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার সরকারের তরফে। ১ লক্ষ মানুষ সাক্ষী থাকতে পারবেন এই শেষ শ্রদ্ধার্ঘ্য অনুষ্ঠানে। রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হবে।


আগামী ২-৩ সপ্তাহের মধ্যেই এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে বলে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম সারির কয়েকটি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে। ওয়ার্নের গোটা পরিবার উপস্থিত থাকবে এই পাবলিক মেমোরিয়াল অনুষ্ঠানে। ব্যক্তিগতভাবে তাঁর পরিবারের সদস্যরা একান্তে ওয়ার্নের আত্মার শান্তি কামনার পর অনুষ্ঠিত হবে এই পাবলিক মেমোরিয়াল অনুষ্ঠান।


অবশ্য মেলবোর্নকে ভেন্যু হিসেবে এখনও নিশ্চিত করেননি ওয়ার্নের দীর্ঘদিনের ম্যানেজার জেমস এরসকাইন। তবে জেমস একথা জানাতেও ভোলেননি যে, মেলবোর্ন ওয়ার্নের মতো কিংবদন্তি ক্রিকেটারের শেষ শ্রদ্ধার্ঘ্য অনুষ্ঠানটি আয়োজন করার জন্য একদম সঠিক জায়গা।


এদিকে, ওয়ার্নের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ রিকি পন্টিং। এক সময়ের টিম মেট। একসঙ্গে রয়েছে একাধিক সাফল্য। এহেন টিম-মেট শেন ওয়ার্নের মৃত্যুতে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন পন্টিং। এবার কিংবদন্তি স্পিনারের শিক্ষা তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার কথা বললেন পন্টিং। একাজ তিনিই করতে চান বলে জানিয়েছেন।


পন্টিং বলেন, গত ২৪ ঘণ্টা ধরে শতাধিক ছবি দেখেছি, যাঁদের সঙ্গে ওয়ার্ন কাজ করেছিলেন। স্টিভ স্মিথকে অল্প বয়সে সাহায্য করেছিলেন। রশিদ খানও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলেন। কী ধরনের কথাবার্তা তাঁদের মধ্যে হতে পারে অনুমান করুন। এরপর আমি যদি সুযোগ পাই, তাহলে গোটা বিশ্বকে জানাব ওয়ার্ন কেমন ছিলেন এবং আমি তাঁর কাছ থেকে যেসব শিক্ষা পেয়েছি তা বিতরণ করব।


তিনি আরও বলেন, যদি কখনও একদিন কেউ শেন ওয়ার্নের সঙ্গে কাটিয়েছেন, তিনি দেখেছেন তাঁর মোবাইল কয়েকটি নাম উঠছে। বাড়িতে ওয়ার্ন বসে আছেন, এটা খুব বিরল ঘটনা। সবসময় চেষ্টা করতেন, বন্ধু ও পরিবারের জন্য কিছু সময় বের করার। এটাই ছিল তাঁর অন্যতম শক্তি। পরিবার ও বন্ধুদের প্রতি প্রচণ্ড অনুগত ছিলেন ওয়ার্ন।