করাচি: পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) স্পট-ফিক্সিংয়ে জড়িত থাকার দায়ে পাঁচ বছরের জন্য নির্বাসিত হলেন শারজিল খান। পাকিস্তানের এই ব্যাটসম্যানের বিরুদ্ধে এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে পিএসএল-এ স্পট-ফিক্সিংয়ের অভিযোগ ওঠে। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) দুর্নীতি দমন শাখা তদন্ত করে জানিয়েছে, শারজিল দুর্নীতি-দমন সংক্রান্ত পাঁচটি ধারা লঙ্ঘন করেছেন। সেই কারণেই তাঁকে পাঁচ বছরের জন্য নির্বাসিত করা হল। আড়াই বছর করে দুটি ভাগে এই শাস্তি কার্যকর হবে। এ বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর হচ্ছে নির্বাসনের মেয়াদ।


পাকিস্তানের হয়ে একটি টেস্ট, ২৫টি একদিনের আন্তর্জাতিক এবং ২৫টি টি-২০ ম্যাচ খেলেছেন শারজিল। পাকিস্তানের প্রাক্তন কোচ ওয়াকার ইউনিস তাঁর সঙ্গে ডেভিড ওয়ার্নারের তুলনা করেছিলেন। কিন্তু কেরিয়ারের শুরুতেই কেলেঙ্কারিতে জড়ালেন শারজিল। পিএসএল-এ স্পট-ফিক্সিংয়ের অভিযোগ ওঠার পরেই তাঁকে দুবাই থেকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়। এবার নির্বাসিত করা হল। শারজিলের আইনজীবী শাইঘান ইজাজ অবশ্য দাবি করেছেন, পিসিবি স্পট-ফিক্সিংয়ের যথেষ্ট প্রমাণ পেশ করতে পারেনি। তবে দুর্নীতি দমন শাখা যে সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে, সেটা তাঁরা মেনে নিচ্ছেন।

পাকিস্তান ক্রিকেটে ম্যাচ গড়াপেটা বা স্পট-ফিক্সিংয়ের কলঙ্ক নতুন ঘটনা নয়। গড়াপেটার সঙ্গে যুক্ত থাকার দায়ে ২০০০ সালে আজীবন নির্বাসিত হন প্রাক্তন অধিনায়ক সেলিম মালিক। ২০১০ সালের ইংল্যান্ড সফরে স্পট-ফিক্সিংয়ের দায়ে নির্বাসিত হন তৎকালীন অধিনায়ক সলমন বাট, পেসার মহম্মদ আমি ও মহম্মদ ইউসুফ। আমির অবশ্য নির্বাসন কাটিয়ে পাকিস্তান দলে ফিরেছেন। ২০১২-১৩ সালে ইংল্যান্ডের কাউন্টি ক্রিকেটে স্পট-ফিক্সিংয়ের দায়ে নির্বাসিত হন স্পিনার দানিশ কানেরিয়া। পিএসএল-এ স্পট-ফিক্সিংয়ের দায়ে খালিদ লতিফও নির্বাসিত হতে পারেন বলে পিসিবি সূত্রে খবর।