নয়াদিল্লি: এবারের ইংল্যান্ড সফরে টি-২০ সিরিজ জিতলেও, একদিনের সিরিজে হেরে গিয়েছে ভারতীয় দল। টেস্ট সিরিজেও প্রথম দু’টি ম্যাচে হেরে পিছিয়ে পড়েছে ভারত। শনিবার থেকে ট্রেন্টব্রিজে শুরু হতে চলেছে তৃতীয় টেস্ট। তার আগে ভারতীয় দলের কোচ রবি শাস্ত্রী ও অধিনায়ক বিরাট কোহলিকে কিছু প্রশ্ন করতে পারে বিসিসিআই। সংবাদসংস্থা পিটিআই সূত্রে এমনই খবর।

বিসিসিআই-এর নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘প্রস্তুতির জন্য যথেষ্ট সময় পাওয়া যায়নি, এমন অভিযোগ করতে পারবে না ভারতীয় দল। আমরা যখন দক্ষিণ আফ্রিকায় সিরিজ হেরেছিলাম, তখন ক্রিকেটাররা ক্রীড়াসূচি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন। তাঁরা প্রস্তুতি ম্যাচ না খেলার ফলে অসুবিধা হওয়ার কথাও বলেছিলেন। এবার তাঁদের সঙ্গে কথা বলেই ঠিক হয়েছিল, টেস্ট সিরিজের আগে সাদা বলে ম্যাচের ব্যবস্থা করা হবে। সিনিয়র দলের অনুরোধেই একই সময়ে ভারতীয় এ দলেরও ইংল্যান্ড সফরের ব্যবস্থা করা হয়। সিনিয়র দলের দুই সদস্য (মুরলী বিজয় ও অজিঙ্কা রাহানে) এ দলের হয়ে খেলেন। যা চাওয়া হয়েছিল সবই দেওয়া হয়। এরপর প্রত্যাশিত ফল না পাওয়া গেলে বোর্ড প্রশ্ন করতেই পারে।’

চলতি সিরিজের প্রথম তিনটি টেস্টের জন্য দল ঘোষণা করেছিলেন নির্বাচকরা। তৃতীয় টেস্টের পরেই চতুর্থ ও পঞ্চম টেস্টের দল বেছে নেওয়া হবে। তার আগে মাঠের মতোই মাঠের বাইরেও চাপে শাস্ত্রী ও বিরাট। তাঁরা এতদিন যে একচ্ছত্র ক্ষমতার অধিকারী ছিলেন, সেটা খর্ব করা হতে পারে বলে ইঙ্গিত মিলেছে।

বিসিসিআই-এর ওই কর্তা বলেছেন, ‘ভুলে গেলে চলবে না, শাস্ত্রী ও এখন দলের সঙ্গে যুক্ত সাপোর্ট স্টাফদের আমলেই আমরা অস্ট্রেলিয়া (২০১৪-১৫ মরসুমে ০-২) ও দক্ষিণ আফ্রিকায় (২০১৭-১৮ মরসুমে ১-২) টেস্ট সিরিজ হেরেছি। এখন ইংল্যান্ডেও আমরা হারের মুখে। আপনাদের যদি মনে থাকে, ডানকান ফ্লেচারের সহকারী জো ডাওয়েস (বোলিং কোচ) ও ট্রেভর পেনিকে (ফিল্ডিং কোচ) সরিয়ে দিয়েছিল বিসিসিআই। একদিনের সিরিজের আগে টিম ডিরেক্টর হন শাস্ত্রী। তাঁর সহকারী হন সঞ্জয় বাঙ্গার, আর শ্রীধর ও ভরত অরুণ। তাঁদের সবার ভূমিকাই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। শ্রীধর ফিল্ডিং কোচ হওয়ার পর থেকে স্লিপে ৫০টি ক্যাচ পড়েছে। অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক ইয়ান চ্যাপেলও ভারতের ফিল্ডারদের টেকনিক নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। বাঙ্গার চার বছর ধরে ব্যাটিং কোচ থাকার পরেও বিদেশ সফরে ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের সমস্যার কোনও সমাধান খুঁজে বার করতে পারেননি।’