কলকাতা: প্যারিস অলিম্পিক্সে কুস্তিতে ৫০ কেজি বিভাগে ফাইনালে উঠেও বিতর্কের কেন্দ্রে জড়িয়েছেন। অলিম্পিক্স থেকে বাতিল হয়ে যেতে হয়েছে বিনেশ ফোগতকে। যদিও ইন্টারন্যাশনাল অলিম্পিক্স কমিটির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গিয়ে ক্রীড়া আদালতে আবেদন করেছিলেন ভারতীয় কুস্তিগীর। আজ যে শুনানির রায় বেরনোর কথা। এবার বিনেশকে নিয়ে মুখ খুললেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। প্রাক্তন ভারত অধিনায়কও দাবি তুললেন যে রুপো নিশ্চিতভাবেই পাওয়া উচিত মহিলা এই কুস্তিগীরের। মাত্র ১০০-১৫০ গ্রাম ওজন বেশি হওয়ায় অলিম্পিক্সে মহিলাদের ৫০ কেজি ফ্রি স্টাইল বিভাগের ফাইনালের দিন সকালে বাতিল করা হয় বিনেশকে। ভারতীয় কুস্তিগীরের অন্তত রুপো জয় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। 


এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক। তাঁকে অলিম্পিক্স নিয়েও প্রশ্ন করা হয়েছিল। সেখানেই সৌরভ বলেন, ''আমি জানি না আসল নিয়ম ঠিক কী। কিন্তু যখন একবার ও কুস্তির ফাইনালে পৌঁছেছিল, তখন অবশ্যই ওর সোনা বা রুপো পাওয়ার দাবিদার। কারণ ও যোগ্য হিসেবেই ফাইনালে পৌঁছেছিল। এভাবে ওকে বাতিলের খাতায় ফেলে দেওয়া উচিত নয়। অন্ততপক্ষে রুপো পাওয়ার যোগ্য নিশ্চিতভাবেই ও।'' এর আগে সোশ্য়াল মিডিয়ায় সরব হয়েছিলেন সচিন তেন্ডুলকর। তিনি লিখেছিলেন, ''প্রত্যেক খেলার আলাদা নিয়ম থাকে। সেই নিয়ম সকলের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। তবে সময় বিশেষে নিয়ম খতিয়ে দেখার দরকার রয়েছে। বিনেশ পরিচ্ছন্নভাবে খেলে ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছিলেন। ফাইনালের আগে তাঁকে বাতিল করা হয় আর সেটাও ওজনের জন্য। রুপোর পদক ওঁর প্রাপ্য। প্রাপ্য রুপোর পদক কেড়ে নেওয়া কোনও খেলোয়াড়ি যুক্তিতে মেনে নেওয়া যাচ্ছে না।''


উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আদালতের আবেদন জানানোর পরের দিনই কুস্তি থেকে অবসর ঘোষণা করেছিলেন বিনেশ। নিজের সােশ্যাল মিডিয়া পোস্টে বিনেশ লিখেছিলেন, ''মা কুস্তি জিতে গিয়েছে। আমি হেরে গিয়েছি। ক্ষমা করে দিও, তোমার স্বপ্ন, আমার মনোবল সব ভেঙে গিয়েছে। এর থেকে বেশি ক্ষমতা আর নেই আমার। বিদায় কুস্তি - ২০০১-২০২৪। আপনাদের কাছে চিরকাল ঋণী থাকব। ক্ষমা চাইছি।''


সচিন জানিয়েছেন, কোনও অ্যাথলিট ডোপ করে ফাইনালে জায়গা পেলে তাঁর পদক কেড়ে নেওয়া যেতেই পারে। কিন্তু বিনেশের ক্ষেত্রে পুরো বিষয়টি আলাদা। তিনি যথেষ্ট দক্ষতা দেখিয়েই কুস্তির ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছিলেন। তারপরেও তাঁর ক্ষেত্রে যেটি হয়েছে, তা ঠিক নয় বলেই সরব হয়েছেন মাস্টার ব্লাস্টার। সঙ্গে তাঁর আশ্বাস, বিনেশ নিশ্চয়ই ন্যায়বিচার পাবেন।