করাচি:ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে চলতি সিরিজের প্রথম টেস্ট পাকিস্তানের প্রথম একাদশে জায়গা হয়নি সরফরাজ আহমেদের। তবে মাঠে দ্বাদশ ব্যক্তির ভূমিকায় দেখা গিয়েছে পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ককে। চলতি টেস্টের দ্বিতীয় দিনে তাঁকে প্রথম মাঠে দেখা যায়। মহম্মদ রিজওয়ান আউট হওয়ার পর শাদাব খানের জন্য জুতো নিয়ে আসতে দেখা যায় তাঁর। সঙ্গে ছিল জলের বোতলও।
এই ঘটনা ঘিরে অবশ্য তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে পাকিস্তানের টিম ম্যানেজমেন্ট। প্রাক্তন পাক স্পিডস্টার শোয়েব আখতার এই ঘটনাকে অমর্যাদাকর বলে তোপ দেগেছেন।
একটি সংবাদমাধ্যমে প্যানেল আলোচনায় অংশগ্রহণ করে রওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস বলেছেন, একজন প্রাক্তন অধিনায়কের এভাবে জুতো বয়ে নিয়ে নিয়ে যাওয়া একেবারেই ঠিক নয়। ওই আলোচনায় ছিলেন প্রাক্তন পাক ক্রিকেটার রশিদ লতিফও। আখতার সরফরাজকে ভীতু বলেও অভিহিত করেন। তিনি বলেছেন, সরফরাজ সব সময়ই কোচ মিকি আর্থারের কথাতেই চলতেন।
আখতার বলেছেন, আমার ওই দৃশ্য একেবারেই ভালো লাগেনি। যে খেলোয়াড় চার বছর পাক দলকে নেতৃত্ব দিয়েছে, দেশের জন্য চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতেছে, তাকে দিয়ে এমনটা করানো যায় না। তোমরা তাঁকে দিয়ে জুতো বইয়েছো। যদি ও নিজে থেকে করে, তাহলে বাধা দিতে হবে। ওয়াসিম আক্রম তো আমার জন্য কখনও জুতো বয়ে আনেননি। এটাই দেখিয়ে দেয় যে, সরফরাজ খুবই নিরীহ ও দুর্বল মানুষ। যেভাবে জুতো বয়ে নিয়ে এসেছে, সেভাবেই ও পাকিস্তানকে নেতৃত্ব দিয়েছে। এজন্যই মিকি আর্থার ওর মাথার ওপর চড়ে বসতে পেরেছিল। আমি বলছি না, জুতো বয়ে নিয়ে যাওয়াটা সমস্যা। কিন্তু একজন প্রাক্তন অধিনায়ক তা করতে পারে না।
লতিফও একই ধরনের অভিমত প্রকাশ করেন। তবে একইসঙ্গে সরফরাজের স্পিরিটেরও প্রশংসা করেন তিনি। লতিফ দলের স্পিরিট নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, দলের দুই সিনিয়র পেসার মহম্মদ আমির ও ওয়াহাব রিয়াজ পাকিস্তানি ক্রিকেট কিটও পরেননি। স্ট্যান্ডে ট্র্যাকশ্যুট পরে তাঁরা বসেছিলেন। এটা কোনওভাবেই টিম স্পিরিটের উদাহরণ হতে পারে না বলেও মন্তব্য করেন লতিফ। তিনি বলেছেন, সরফরাজ স্পিরিটটা দেখিয়েছে। কিন্তু এমনটা হওয়া উচিত ছিল না।
এরইমধ্যে সরফরাজ যে উদ্যম দেখিয়েছেন তার প্রশংসা করেছেন দলের হেড কোচ ও মুখ্য নির্বাচক মিসবা উল হক। তিনি জানিয়েছেন, ওই সময় অন্যরা নেটে অনুশীলন করছিল। অন্য কেউ না থাকায় সরফরাজই মাঠে যান।
তবে এই ঘটনা নিয়ে শোরগোলের কিছু নেই বলেও মন্তব্য করেছেন মিসবা। তিনি বলেছেন, পাকিস্তানেই এমন সমালোচনা সম্ভব। আমি অধিনায়ক থাকাকালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে একটি ম্যাচে খেলিনি। তখন দ্বাদশ ব্যক্তির ভূমিকা পালন করেছি।