মুম্বই: নিজের শেষ ট্যুইটে প্যারালিম্পিক্সে পদকজয়ীদের শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন সিদ্ধার্থ শুক্লা। টিভি সিরিয়ালের জনপ্রিয় এই অভিনেতা বৃহস্পতিবার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। বয়স হয়েছিল মাত্র ৪০ বছর। তাঁর মৃত্যুর পরই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে সিদ্ধার্থের শেষ ট্যুইটটি। 


নিজের শেষ ট্যুইটারটি গত ৩০ অগাস্ট করেছিলেন সিদ্ধার্থ। সেখান প্যারালিম্পিক্সে সোনাজয়ী সুমিত আন্টিল ও অবনী লেখারাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন সিদ্ধার্থ। সেই ট্যুইটে ৪০ বছরের এই তারকা লিখেছেন, 'প্যারালিম্পিক্সে ভারতের প্রতিনিধিরা আমাদের গর্বিত করেই চলেছেন। প্যারালিম্পিক্সে বিশ্বরেকর্ড গড়ে সোনা জিতেছেন সুমিত আন্টিল। সোনা জিতেছেন অবনী লেখারা। ২ জনকেই শুভেচ্ছা।'


 



 


 হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হয়েছেন জনপ্রিয় টেলিভিশন তারকা সিদ্ধার্থ শুক্লা। বয়স হয়েছিল মাত্র ৪০ বছর। সূত্রের খবর অনুযায়ী,  বুধবার রাতে ঘুমের সময় ওষুধ খেয়েছিলেন তিনি। এরপর আর ঘুম ভাঙল না অভিনেতার।  মুম্বইয়ের কুপার হাসপাতালে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হলেও কোনও লাভ হয়নি ৷ চিকিৎসার কোনও সুযোগই পাওয়া যায়নি। পোস্টমর্টেমের পর জানা যাবে মৃত্যুর আসল কারণ। এমনটাই জানিয়েছে মুম্বই পুলিশ।


‘বাবুল কা আঙ্গান ছুটে না’ বলে একটি ধারাবাহিকে অভিনয় দিয়ে রূপোলি পর্দায় পা রাখেন সিদ্ধার্থ শুক্লা। এরপর ‘জানে পহেচান সে’, ‘ইয়ে আজনবি’, ‘লভ ইউ জিন্দগি’ সহ একাধিক জনপ্রিয় ধারাবাহিকে অভিনয় করেন তিনি৷  সিদ্ধার্থ শুক্লা মুম্বইয়ের একজন ভারতীয় টেলিভিশন অভিনেতা মডেল এবং উপস্থাপক ছিলেন। তিনি ২০০৮ সালের ধারাবাহিক 'বাবুল কা অঙ্গন ছুটে না'য় অভিনয়ের মাধ্যমে টেলিভিশন জগতে অভিষেক করেছিলেন। তারপর তিনি 'লাভ ইউ জিন্দেগী', 'বালিকা বধূ' এবং 'দিল সে দিল তাক'-এর মতো ধারাবাহিকের মূল চরিত্রে অভিনয় করার মাধ্যমে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন। এছাড়াও তিনি ঝলক দিখলা যা , ফিয়ার ফ্যাক্টর, খাত্রোঁ কে খিলাড়ি এবং বিগ বস -এর মতো রিয়্যালিটি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছিলেন। এর মধ্যে ফিয়ার ফ্যাক্টর ও খাত্রোঁ কে খিলাড়িতে তিনি জয়লাভ করেছিলেন।


পরিচালক ও প্রযোজন করণ জোহরের হাত ধরে সিদ্ধার্থ ধর্মা প্রোডাকশনের ছবি 'হাম্পটি শর্মা কি দুলহনিয়া'য় অভিনয় করার মাধ্য়ে বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন। এই ছবিতে অভিনয়ের জন্য বহু সমালোচকদের প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন এবং ২০১৫ সালে তিনি সেরা নবাগত পার্শ্ব চরিত্র বিভাগে স্টারডাস্ট পুরস্কার জয়লাভ করেছিলেন।