নয়াদিল্লি ও কলকাতা: আর কিছুক্ষণের অপেক্ষা। তারপরেই শুরু হচ্ছে মহিলাদের টি-২০ বিশ্বকাপের ফাইনাল। তার আগে ১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক কপিল দেব বলেছেন, ‘যে দল চাপ সামাল দিতে পারবে তারাই জিতবে। আমাদের মেয়েরা দারুণ খেলবে। মনে হচ্ছে আমাদের মেয়েরা চাপ নেওয়া শিখে গিয়েছে। যত দিন যাচ্ছে, ওরা উন্নতি করছে। শেফালি বর্মা এত কম বয়সে দুর্দান্ত খেলছে। বিশেষ প্রতিভার অধিকারী। ওর মধ্যে বড় শট খেলার ক্ষমতা আছে। টস জিতে নিজেদের দক্ষতা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। আমাদের বোলারদের ঠিক লাইন ও লেংথে বোলিং করতে হবে, নিয়মিত উইকেট নিতে হবে। বিপক্ষের উপর চাপ তৈরি করতে হবে। ভয় না পেয়ে খেলা উচিত স্মৃতি মন্ধানা, হরমনপ্রীত কউরের মতো সিনিয়র খেলোয়াড়দের।’


বাংলার প্রাক্তন ক্রিকেটার সম্বরণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘শেফালি বর্মার বয়স ১৬। এই বয়সেই ও অস্ট্রেলিয়ায় ৯টি ছক্কা মেরেছে। ও যদি দলকে ভাল স্টার্ট দেয়, তাহলে সুবিধা হবে। ভারতীয় দল গ্রুপে সবাইকে হারিয়েছে। ১০ দিন ম্যাচ না খেলার ফলে অসুবিধায় পড়তে পারে ভারত। হরমনপ্রীতের চেয়ে দীপ্তির ব্যাটিং আমার বেশি ভাল লাগে। বড় প্রতিযোগিতা জিততে গেলে সবারই অবদান দরকার হয়। আশা করি আজ সবাই ভাল খেলবে।’

বাংলার অপর এক ক্রিকেটার সৌরাশিস লাহিড়ী বলেছেন,  ‘পুনম যাদব অসাধারণ ক্রিকেটার। দীপ্তি শর্মা, শিখা পাণ্ডেও ধারাবাহিকভাবে ভাল খেলছে। নারী দিবসে মেলবোর্নে ভারতের জয় চাই।’

ভারতীয় দলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রাক্তন ক্রিকেটার লক্ষ্মীরতন শুক্ল বলেছেন, ‘আমরা মহিলাদের সমর্থনে সাইকেল যাত্রা করেছি, সই সংগ্রহ করেছি। নারীশক্তির প্রমাণ বারবার পাওয়া যায়। আন্তর্জাতিক নারী দিবসে ইতিহাস তৈরি হবে বলে আশা করছি। জিততে গেলে সবাইকে ভাল খেলতে হবে।’

ভারতীয় দল ভাল খেলবে এবং চ্যাম্পিয়ন হবে বলেই আশা করছেন বাংলার ক্রিকেটার রিচা ঘোষের বাবা-মা। তাঁরা জানিয়েছেন, মেয়ে খেলার সুযোগ পেলে বেশি খুশি হবেন। তবে রিচা না খেললেও তাঁরা ভারতের জয় চাইবেন।