অনেক ক্রিকেটারই ইচ্ছাকৃতভাবে ২০০৫ সালে ভারত সফরে আসেননি, দুর্বল দল নিয়ে খেলতে হয়, দাবি ইনজামামের
ওয়েব ডেস্ক, এবিপি আনন্দ
Updated at:
02 Apr 2020 07:18 PM (IST)
সেই সফরে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজের ফল হয়েছিল ১-১ এবং ৬ ম্যাচের একদিনের সিরিজ ৪-২ ফলে জিতেছিল পাকিস্তান।
NEXT
PREV
নয়াদিল্লি: ২০০৫ সালের ভারত সফরে অনেক সতীর্থ ক্রিকেটারদের কাছ থেকেই সাহায্য পাননি। কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় ইচ্ছাকৃতভাবে ভারত সফরে আসেননি। ফলে দুর্বল দল নিয়েই খেলতে হয় পাকিস্তানকে। এমনই দাবি করলেন তৎকালীন অধিনায়ক ইনজামাম উল হক।
নিজের ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করা একটি ভিডিওতে ইনজামাম বলেছেন, ‘কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় ভারতে খেলতে যেতে রাজি হয়নি। ফলে অত্যন্ত শক্তিশালী ভারতীয় ব্যাটিং লাইনআপের বিরুদ্ধে আমাকে দুর্বল আক্রমণ নিয়েই খেলতে হয়। আমার মনে হয়, সংশ্লিষ্ট খেলোয়াড়দের ধারণা ছিল, সিরিজ হেরে গেলে আমাকে অধিনায়কের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে এবং ওদের সামনে সুযোগ আসবে।’
সেই সফরে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজের ফল হয়েছিল ১-১ এবং ৬ ম্যাচের একদিনের সিরিজ ৪-২ ফলে জিতেছিল পাকিস্তান। দুর্বল দল নিয়েও সাফল্য পেয়েছিলেন ইনজামাম। সেই সফরের স্মৃতি তাঁর মনে টাটকা।
বেঙ্গালুরুতে সিরিজের তৃতীয় তথা শেষ টেস্ট ম্যাচে ইনিংস ডিক্লেয়ার করা নিয়ে পাকিস্তানের তৎকালীন কোচ প্রয়াত বব উলমারের সঙ্গে তাঁর মতপার্থক্য হয়েছিল বলেও জানিয়েছেন ইনজামাম। এ বিষয়ে তিনি বলেছেন, ‘আমি যখন দ্বিতীয় ইনিংস ডিক্লেয়ার করার কথা ভাবছিলাম, তখন বব উলমারকে বার্তা পাঠাই, আজ ভারতকে কয়েক ওভার ব্যাটিং করাতে চাই। উলমার বলেন, অধিনায়ক ও সহ-অধিনায়কের এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। আমি ইউনিসকে (খান) জিজ্ঞাসা করি। ও আমার সঙ্গে একমত হয়। আমি একটা সুযোগ নিতে চাইছিলাম। সেই কারণেই ডিক্লেয়ার করে দিই। আমি যখন ড্রেসিংরুমে ফিরি, তখন উলমার বলেন, তাঁর মতে এই সিদ্ধান্ত ভুল। কিন্তু আমার মনে হয়েছিল, শেষদিন ভারতকে ম্যাচ বাঁচানোর জন্য খেলতে হবে। ফলে ওরা নেতিবাচক মানসিকতা নিয়ে ব্যাটিং করবে। একমাত্র বীরেন্দ্র সহবাগই আমাদের বিপদে ফেলতে পারত। পরেরদিন আমি দলের সবাইকে বলি, যদি (আবদুল) রজ্জাক সহবাগকে আউট করে দিতে পারে, তাহলে ভারত রান তাড়া করতে পারবে না। সেদিন সহবাগকে রান আউট করে দেয় রজ্জাক। এরপরেই ভারতীয় দল রক্ষণাত্মক হয়ে পড়ে। আমি আক্রমণে ঝাঁপাই। সচিন তেন্ডুলকরের মতো ব্যাটসম্যানও রান করতে পারেননি। শেষপর্যন্ত আমার আগে ইনিংস ডিক্লেয়ারের সিদ্ধান্তই ঠিক বলে প্রমাণিত হয়।’
পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ক আরও বলেছেন, ‘আমাদের দলের কাছে বেঙ্গালুরু টেস্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমরা যখন ২০০৫ সালে ভারত সফরে আসি, তখন অনেক প্রাক্তন ক্রিকেটার ও বিশ্লেষকই বলেছিলেন, এটা ভারত সফরে আসা সবচেয়ে দুর্বল পাকিস্তান দল। তাঁদের মনে হয়েছিল, শক্তিশালী ভারতীয় দল আমাদের সহজেই হারিয়ে দেবে। আমাদের শক্তিশালী বোলিং আক্রমণ ছিল না। অধিনায়ক হিসেবে আমি বুঝতে পারছিলাম না ভারতীয় দলকে কীভাবে অলআউট করব। কিন্তু শেষপর্যন্ত আমরা সাফল্য পাই।’
নয়াদিল্লি: ২০০৫ সালের ভারত সফরে অনেক সতীর্থ ক্রিকেটারদের কাছ থেকেই সাহায্য পাননি। কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় ইচ্ছাকৃতভাবে ভারত সফরে আসেননি। ফলে দুর্বল দল নিয়েই খেলতে হয় পাকিস্তানকে। এমনই দাবি করলেন তৎকালীন অধিনায়ক ইনজামাম উল হক।
নিজের ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করা একটি ভিডিওতে ইনজামাম বলেছেন, ‘কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় ভারতে খেলতে যেতে রাজি হয়নি। ফলে অত্যন্ত শক্তিশালী ভারতীয় ব্যাটিং লাইনআপের বিরুদ্ধে আমাকে দুর্বল আক্রমণ নিয়েই খেলতে হয়। আমার মনে হয়, সংশ্লিষ্ট খেলোয়াড়দের ধারণা ছিল, সিরিজ হেরে গেলে আমাকে অধিনায়কের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে এবং ওদের সামনে সুযোগ আসবে।’
সেই সফরে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজের ফল হয়েছিল ১-১ এবং ৬ ম্যাচের একদিনের সিরিজ ৪-২ ফলে জিতেছিল পাকিস্তান। দুর্বল দল নিয়েও সাফল্য পেয়েছিলেন ইনজামাম। সেই সফরের স্মৃতি তাঁর মনে টাটকা।
বেঙ্গালুরুতে সিরিজের তৃতীয় তথা শেষ টেস্ট ম্যাচে ইনিংস ডিক্লেয়ার করা নিয়ে পাকিস্তানের তৎকালীন কোচ প্রয়াত বব উলমারের সঙ্গে তাঁর মতপার্থক্য হয়েছিল বলেও জানিয়েছেন ইনজামাম। এ বিষয়ে তিনি বলেছেন, ‘আমি যখন দ্বিতীয় ইনিংস ডিক্লেয়ার করার কথা ভাবছিলাম, তখন বব উলমারকে বার্তা পাঠাই, আজ ভারতকে কয়েক ওভার ব্যাটিং করাতে চাই। উলমার বলেন, অধিনায়ক ও সহ-অধিনায়কের এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। আমি ইউনিসকে (খান) জিজ্ঞাসা করি। ও আমার সঙ্গে একমত হয়। আমি একটা সুযোগ নিতে চাইছিলাম। সেই কারণেই ডিক্লেয়ার করে দিই। আমি যখন ড্রেসিংরুমে ফিরি, তখন উলমার বলেন, তাঁর মতে এই সিদ্ধান্ত ভুল। কিন্তু আমার মনে হয়েছিল, শেষদিন ভারতকে ম্যাচ বাঁচানোর জন্য খেলতে হবে। ফলে ওরা নেতিবাচক মানসিকতা নিয়ে ব্যাটিং করবে। একমাত্র বীরেন্দ্র সহবাগই আমাদের বিপদে ফেলতে পারত। পরেরদিন আমি দলের সবাইকে বলি, যদি (আবদুল) রজ্জাক সহবাগকে আউট করে দিতে পারে, তাহলে ভারত রান তাড়া করতে পারবে না। সেদিন সহবাগকে রান আউট করে দেয় রজ্জাক। এরপরেই ভারতীয় দল রক্ষণাত্মক হয়ে পড়ে। আমি আক্রমণে ঝাঁপাই। সচিন তেন্ডুলকরের মতো ব্যাটসম্যানও রান করতে পারেননি। শেষপর্যন্ত আমার আগে ইনিংস ডিক্লেয়ারের সিদ্ধান্তই ঠিক বলে প্রমাণিত হয়।’
পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ক আরও বলেছেন, ‘আমাদের দলের কাছে বেঙ্গালুরু টেস্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমরা যখন ২০০৫ সালে ভারত সফরে আসি, তখন অনেক প্রাক্তন ক্রিকেটার ও বিশ্লেষকই বলেছিলেন, এটা ভারত সফরে আসা সবচেয়ে দুর্বল পাকিস্তান দল। তাঁদের মনে হয়েছিল, শক্তিশালী ভারতীয় দল আমাদের সহজেই হারিয়ে দেবে। আমাদের শক্তিশালী বোলিং আক্রমণ ছিল না। অধিনায়ক হিসেবে আমি বুঝতে পারছিলাম না ভারতীয় দলকে কীভাবে অলআউট করব। কিন্তু শেষপর্যন্ত আমরা সাফল্য পাই।’
খেলা (sports) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেইলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে ।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -