কলকাতা: ক্রিকেট প্রশাসক পদে ৬ বছরের দীর্ঘ মেয়াদ শেষ। প্রশাসক হিসেবে পাঁচ বছরেরও বেশি সময় সিএবি-র শীর্ষ পদাধিকারী ছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। গত অক্টোবরে তিনি দায়িত্ব পান ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের। বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট পদ আজ মেয়াদ শেষ হচ্ছে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের। একই সঙ্গে মেয়াদ ফুরিয়েছে বিসিসিআই সেক্রেটারি জয় শাহরও। তবে এই দুই প্রশাসকই শীর্ষ আদালতে আবেদন করেছেন তাঁদের তিন বছর পূর্ণ মেয়াদের জন্য। যেহেতু বিষয়টি বিচারাধীন এবং আদালত এখনও রায় জানায়নি সেহেতু এখনও এই পদে বহাল থাকতে পারবেন সৌরভ ও জয়। তবে পদাধিকারী হিসাবে কোনও বৈঠকে থাকতে পারবেন না তাঁরা। আপাতত বোর্ডের মুখপাত্র হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা আইপিএলের গভর্নিং কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ব্রিজেশ পটেল।


সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ২০১৪ সালে সিএবি সচিব হন। তারপর জগমোহন ডালমিয়ার প্রয়াণের পর প্রেসিডেন্ট পদেও অভিষেক হয় তাঁর। এরপর বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট পদে বসেন সৌরভ। রাজ্যের ক্রিকেট সংস্থা ও বিসিসিআই মিলিয়ে একটানা ৬ বছর প্রশাসকের ভূমিকায় রয়েছেন তিনি। লোধা কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী এরপর তাঁকে বাধ্যতামূলক কুলিং অফ পিরিয়ডে যেতে। যাকে চ্যালেঞ্জ করেই শীর্ষ ন্যায়ালয়ে আবেদন করেছেন সৌরভ। একই আবেদন জানিয়েছেন জয়ও। আগামী মাসে সেই মামলার শুনানি। ততদিন পর্যন্ত সরকারি মেয়াদ ফুরোলেও পদে থাকছেন সৌরভ এবং জয় উভয়।



এই পরিস্থিতিতে বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বনিয়ামক সংস্থার শীর্ষে ‘দাদা’-কে দেখতে চেয়েছেন কুমার সঙ্গকারা, গ্রেম স্মিথের মতো কিংবদন্তিরা। এদিকে ২০২৩ বিশ্বকাপ পর্যন্ত ভারতীয় বোর্ডের প্রসিডেন্ট হিসেবে সৌরভকেই দেখতে চান সুনীল গাওস্কর। যদিও সম্প্রতি সৌরভকে এই নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি গোটাটাই সময় ও পরিস্থিতির ওপর ছেড়ে দিয়েছেন। জন্মদিনে মহারাজকে আইসিসি পদাধিকারী হওয়া নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি সাফ জানিয়ে দেন, করোনাকালে তিনি কোনও সম্ভাবনা নিয়েই ভাবতে নারাজ। এমনকী, রাজনীতিতে অভিষেক নিয়ে সৌরভের জবাব ছিল, “প্রত্যেকবারই এই প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়।” একগাল হেসে বেহালার বাঁ হাতি স্রেফ বলেছিলেন, “দেখা যাক।”