কলকাতা: ইতিহাস গড়েছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র ইসরো (ISRO)। চন্দ্রযান ৩ বিশ্বের প্রথম মহাকাশযান হিসাবে স্পর্শ করেছে চাঁদের দক্ষিণ মেরুর মাটি। তারপর থেকে গকোটা বিশ্ব জুড়ে চলছে বন্দনা।
চন্দ্রযান ৩-এর (Chandrayaan 3) সাফল্যে উচ্ছ্বসিত সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Sourav Ganguly)। জাতীয় দলের কিংবদন্তি অধিনায়ক বৃহস্পতিবার বলেছেন, 'ইসরোকে অনেক অভিনন্দন। এটা স্মরণীয় কৃতিত্ব। এবং সবচেয়ে কম খরচে চন্দ্রযান ৩ চাঁদের মাটি স্পর্শ করেছে। এর আগেও বিভিন্ন দেশ থেকে চাঁদে পৌঁছেছে। কিন্তু ভারতবর্ষের জন্য এটা প্রথমবার। আর সবচেয়ে কম অর্থ খরচ করে। আমি বারবার বলে থাকি। আগেও বলেছি। আমরা অবিশ্বাস্য একটা দেশে বাস করি।'
চাঁদের মাটিতে পদার্পণ করে ইতিহাস রচনা করেছে ভারত। তবে সেই সাফল্যে মশগুল হয়ে না থেকে, পরবর্তী চন্দ্রাভিযানের প্রস্তুতি নিতে শুরু করল ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ISRO. তবে চন্দ্রযান-৪ যৌথ অভিযান হতে চলেছে। চন্দ্রাভিযানে হাত মেলাতে চলেছে ভারত এবং জাপান। চাঁদের মাটিতে জলের খোঁজ চালানোর উদ্দেশ্য নিয়েই রওনা দেবে চন্দ্রযান-৪। (Chandrayaan 4)
চন্দ্রযান-৪ অভিযানের জন্য জাপানের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা জাপান এ্যারোস্পেস এক্সপ্লোরেশন এজেন্সি (JAXA)-র সঙ্গে হাত মেলাচ্ছে ISRO. যৌথ উদ্যোগে Lunar Polar Exploration Mission (Lupex) মহাকাশযানটিকে চাঁদে পাঠানো হবে, Lupex-এরই অন্য নাম চন্দ্রযান-৪। চাঁদের মাটিতে জল আছে কি, শুধুমাত্র এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই রওনা দেবে সেটি। (Mission Lupex)
বিগত কয়েক বছরে মহাকাশে নজরদারি চালাতে গিয়ে একাধিক বার চাঁদের বুকে জলের অস্তিত্বের ইঙ্গিত মিলেছে। ভবিষ্যৎ মহাকাশ অভিযানের কথা মাথায় রেখেই এই প্রশ্নের উত্তর পাওয়া জরুরি। কারণ জলের খোঁজ পাওয়ার অর্থ, তাকে কাজে লাগিয়ে চাঁদের বুকে স্থায়ী ঠিকানা গড়ে তোলা সম্ভব। চন্দ্রযান-৪ সেই গুরুদায়িত্ব কাঁধে নিয়ে রওনা দেবে।
এখনও পর্যন্ত যে তথ্য মিলেছে, সেই অনুযায়ী, চাঁদের মেরু অঞ্চলে জলের খোঁজ চালাবে চন্দ্রযান-৪। সেই জলের সন্ধান পাওয়া গেলে, সেই জলের গুণমান কেমন, কত পরিমাণ জল রয়েছে এবং তাকে কোন কাজে লাগানো যেতে পারে, সেই নিয়ে চলবে গবেষণা এবং সেই মতো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন বিজ্ঞানীরা।
আরও পড়ুন: কোহলি-গেলদের খেলে যাওয়া মাঠে নেশার আসর! কাঠগড়ায় ফের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন