কলকাতা: শ্রীলঙ্কাকে দুই রানে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে হারিয়ে তিন ম্যাচের টি-টোয়ন্টি সিরিজে ১-০ এগিয়ে গেল ভারতীয় দল। প্রয়াত ময়দানের দুই প্রধানের হয়ে মাঠ কাঁপানো শ্যামল ঘোষ।
ভারতের জয়
প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর মাত্র দুই রানে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে এগিয়ে গেল ভারতীয় দল। ভারতের হয়ে নিজের অভিষেক ম্যাচেই চার উইকেট নিলেন শিবম মাভি। ১৬০ রানেই অল আউট হয়ে গেল দ্বীপরাষ্ট্র। ভারতীয় দল প্রথমে ব্যাট করে ১৬২ রান তোলে। টিম ইন্ডিয়ার হয়ে ঈশান কিষাণের ৩৭ রানের ইনিংস ছাড়াও, দীপক হুডা ও অক্ষর পটেল ষষ্ঠ উইকেটে ৬৮ রান যোগ করেন। দীপক ৪১ ও অক্ষর ৩১ রানে অপরাজিত থাকেন।
সৌরভের প্রত্যাবর্তন
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Sourav Ganguly) আর কামব্যাক, শব্দটা যেন দিন দিন সমার্থকই হয়ে উঠেছে। ক্রিকেটার হিসাবে তাঁর কামব্যাকের কথা ভারতীয় ক্রিকেটের ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে আছে। ক্রিকেটার হিসাবে বহুদিন অবসর নিলেও, তাঁর কামব্যাক করার স্বভাবটা বদলায়নি। ফের একবার কামব্যাক ঘটাতে চলেছেন মহারাজ। তবে এবারের কামব্যাকটা ক্রিকেটার হিসাবে নয়, বরং দিল্লি ক্যাপিটালসের (Delhi Capitals) ক্রিকেট ডিরেক্টর হিসাবে।
বোর্ড সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার আগে ২০১৯ সাল পর্যন্ত তিনি দিল্লি ক্যাপিটালসের ক্রিকেট ডিরেক্টর পদে ছিলেন। এখন আর তিনি বোর্ড সভাপতি নন, তাই এবার তিনি আবারও একবার দিল্লি ফ্রাঞ্চাইজির ডিরেক্টর পদে দায়িত্ব নিতে চলেছেন বলেই একাধিক সূত্রে খবর। সৌরভ দিল্লি ক্যাপিটালসের ক্রিকেটের দিকটা তো দেখবেনই, পাশাপাশি ফ্রাঞ্চাইজির আরও দুইটি দল দুবাই ক্যাপিটালস ও প্রিটোরিয়া ক্যাপিটালসেরও ক্রিকেট বিভাগের একাধিক দিকের দায়িত্ব সামলাতে পারেন সৌরভ।
আইপিএলের সঙ্গে জড়িত এক সূত্র পিটিআইকে জানান, 'হ্যাঁ, এই বছরই সৌরভ আবারও দিল্লি ক্যাপিটালসে ফিরতে চলেছেন। ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে বিস্তর আলোচনা হয়ে গিয়েছে। ওঁ এর আগেও এই ফ্রাঞ্চাইজির সঙ্গে কাজ করেছেন। দলের মালিকদের সঙ্গে ওঁর সম্পর্কও খুব ভাল। আইপিএলে যদি ওঁ কোনও দলের হয়ে কাজ করেন, তাহলে সেই দলটি দিল্লি ক্যাপিটালসই।'
প্রয়াত শ্যামল ঘোষ
চলে গেলেন ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের সত্তরের স্বর্ণযুগের এক নক্ষত্র শ্যামল ঘোষ (Shymal Ghosh)I মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর। মঙ্গলবারই (৩ জানুয়ারি) রাত ন'টা নাগাদ এক বেসরকারি হাসপাতালেই পরলোক গমণ করলেন তিনি। খবর অনুযায়ী, মঙ্গলবার বিকেলে হঠাৎ বুকে ব্যথা হওয়ায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই মৃত্যু হয় তাঁর।
ময়দানের দুই প্রধানের হয়েই কৃতিত্বের সঙ্গে স্টপার পজিশনে খেলেছেন শ্যামল ঘোষ। তবে মূলত ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal) হয়ে তাঁর খেলার সময়কালই বেশি স্মরণীয়। ১৯৭৪ থেকে ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত তিনি লাল হলুদ জার্সিতে খেলেন, অধিনায়ক ছিলেন ১৯৯৭ সালে। ১৯৯৩ সালে সামলে ছিলেন ক্লাবের প্রশিক্ষকের দায়িত্বও। ইস্টবেঙ্গল ক্লাব তাঁকে ২০১৬ সালে জীবনকৃতী সম্মানে সম্মানিত করে। লাল হলুদের পাশাপাশি বাংলাকে খেলোয়াড় হিসাবে তিনবার সন্তোষ ট্রফিও জিতিয়ে ছিলেন এই কিংবদন্তি ফুটবলার। জাতীয় দলের হয়ে খেলার কৃতিত্ব রয়েছে তাঁর।
ঋষভের আরোগ্য কামনায় উর্বশীর মা
শুক্রবার গাড়ি দুর্ঘটনায় কবলে পড়েন ঋষভ পন্থ (Rishabh Pant)। ভারতের তারকা ক্রিকেটার আপতত স্থিতিশীল হলেও, তিনিই হাসপাতালেই রয়েছেন। পন্থের সমর্থক থেকে বিশ্বের একাধিক তারকা ক্রিকেটার, পন্থের আরোগ্য কামনা করছেন সকলেই। ঋষভ পন্থ ও উর্বশী রাউতেলার (Urvashi Rautela) সম্পর্ক নিয়ে জল্পনা-কল্পনার অন্ত নেই। অতীতে বহুবার তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে জলঘোলা হয়েছিল। পন্থের দুর্ঘটনার পরে উর্বশী সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টও করেছিলেন। এবার পন্থের আরোগ্য কামনায় প্রার্থনা করার অনুরোধ করলেন উর্বশীর মা মীরাও (Urvashi Rautela।
মীরা রাউতেলা নিজের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে পন্থের একটি ছবি পোস্ট করে লেখেন, 'সোশ্যাল মিডিয়ার জল্পনা একদিকে এবং আন্তর্জাতিক স্তরে উত্তরাখণ্ডের মুখ উজ্জ্বল করার কৃতিত্ব অন্যদিকে। সিদ্ধবালিবাবা যেন দ্রুত তোমায় সুস্থ করে তোলে। আপনারাও সকলে ঋষভ পন্থের জন্য প্রার্থনা করুন।' মুহূর্তের মধ্যেই উর্বশীর মায়ের পোস্ট ভাইরাল হয়ে যায়। মীরা রাউতেলার ফলোয়াররা তাঁর পোস্টে উর্বশীকে ট্যাগ করেও একাধিক কমেন্ট করেন। প্রসঙ্গত, পন্থের দুর্ঘটনার পর উর্বশী পোস্ট করলেও, পন্থকে নিয়ে সরাসরি তিনি কোনওরকম মন্তব্য করেননি। তবে উর্বশীর মায়ের এই পোস্টে জল্পনা আরও বাড়ল।
আরও পড়ুন: নাগাল্যান্ডের পর উত্তরাখণ্ড, রঞ্জিতে টানা ২ ম্যাচে শতরান অভিমন্যুর