হায়দরাবাদ: নিজেদের ঘরের মাঠে প্লে-অফের দৌড়ে বজায় থাকার জন্য লখনউ সুপার জায়ান্টসের (Lucknow Super Giants) বিরুদ্ধে জিততেই হবে সানরাইজার্স হায়দরাবার্দকে (Sunrisers Hyderabad)। সেই লক্ষ্যে প্রথম ইনিংসে বেশ ভালই রান তুলল সানরাইজার্স। হেনরিক ক্লাসেন ও আব্দুল সামাদের পঞ্চম উইকেটে অর্ধশতরানের পার্টনারশিপের দৌলতেই লখনউয়ের বিরুদ্ধে ছয় উইকেট ১৮২ রান তুলল সানরাইজার্স।
এদিন টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন সানরাইজার্স অধিনায়ক এইডেন মারক্রাম। তবে শুরুটা খুব একটা ভাল করতে পারেনি সানরাইজার্স। ওপেনার অভিষেক শর্মা মাত্র ৭ রানেই সাজঘরে ফেরেন। তাঁকে আউট করেন যুদ্ধবীর সিংহ। রাহুল ত্রিপাঠী শুরুটা ভাল করলেও ২০ রানের বেশি করতে পারেননি। তবে পাওয়ার প্লের প্রথম ছয় ওভারে দুই উইকেট হারিয়েও ৫৬ রান তোলে সানরাইজার্স। রাহুল আউট হওয়ার পর আরেক ওপেনার আনমোলপ্রীতকে সঙ্গ দিতে মাঠে নামেন মারক্রাম।
দুই ব্যাটার ভালভাবেই ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু প্রথমে অমিত মিশ্র প্রথমে ৩৬ রানে ব্যাট করা আনমোলপ্রীতকে সাজঘরে ফেরান। তারপর একই ওভারে পরপর দুই বলে দুই উইকেট নিয়ে ম্যাচের রঙ বদলে দেন লখনউ অধিনায়ক ক্রুণাল। তিনি মারক্রামকে ২৮ ও গ্লেন ফিলিপ্সকে শূন্য রানে সাজঘরে ফেরেন। ১১৫ রানেই পাঁচ উইকেট হারিয়ে খানিকটা চাপেই পড়ে গিয়েছিল সানরাইজার্স। সেখান থেকেই নিজামের শহরের ফ্র্যাঞ্চাইজির ত্রাতা হয়ে উঠেন ক্লাসেন ও সামাদ। দুইজনে মিলে অল্প সময়েই ৫৮ রান যোগ করেন।
গোটা মরসুম জুড়েই ক্লাসেন সানরাইজার্সের হয়ে খুবই ভাল ব্যাটিং করেছেন। এ ম্যাচেও ব্যাট হাতে নিজের ইনিংসে সকলকে প্রভাবিত করলেন তিনি।স্পিন হোক বা পেস, সকলের বিরুদ্ধেই স্বাচ্ছন্দ্যে দেখায় ক্লাসেনকে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত নিজের অর্ধশতরান পূরণ করার আগেই সাজঘরে ফিরতে হয় ক্লাসেনকে। ১৯তম ওভারে বড় শট মারতে গিয়ে ৪৭ রানে সাজঘরে ফেরেন তিনি। তবে আব্দুল সামাদ কিন্তু অপরাজিতই থাকেন। তিনি ৩৭ রান করেন।
লখনউয়ের হয়ে অধিনায়ক ক্রুণাল সেরা বোলিং করেন। তিনি নির্ধারিত চার ওভারে ২৪ রানের বিনিময়ে দুই উইকেট নেন। জয়ের লক্ষ্যে নামা সানরাইজার্স বোর্ডে বেশ ভালই রান তুলেছে। এবার ভুবনেশ্বররা তা বাঁচাতে সক্ষম হন কি না, সেটাই দেখার বিষয়।
আরও পড়ুন: গরমে ব্রন নিয়ে জেরবার ? এই নিয়মগুলি মেনে চললে মিলবে মুক্তি